ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইবি সাইন্স ক্লাবের সভাপতি নিরব, সম্পাদক জুনাইদ ইবিতে স্বাধীনতা দিবসে বিনামূল্যে উন্নতমানের খাবার পাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি

ন্যাশনাল কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যাপার না। শিক্ষার্থীরা পৃথিবী জয় করার সক্ষমতা রাখে। শুধু সঠিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাওয়া ও স্বপ্ন ধরে রাখা প্রয়োজন

দীর্ঘদিন থেকে সকলের চাওয়া প্রাইভেট ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – এর স্কোপ ও সফলতা নিয়ে লেখা। আজ  প্রেসক্রিপশন দিবো ও ঔষধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো। মনে রাখবেন, যারা বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তারা যে আপনার চেয়ে অনেক মেধাবী এমনটা নয়। তাদের অনেকের চেয়ে আপনারা মেধাবী কিন্তু সঠিক জায়গায় আউটকাম দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সমুদ্রের পাশে দাঁড়ালে জল ও আকাশের মিলনমেলার বিশালতা দেখে মনে মুগ্ধতা চলে আসে।  ঠিক তেমনই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিশাল ক্যাম্পাস, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিজের মনের সংকীর্ণতা  দূর করে৷ ন্যাশনাল কিংবা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে আপনি যদি বলেন আমি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেখবো, সুবিশাল মনের অধিকারী হবো ও সে অনুযায়ী কাজ করবো তাহলে আপনি আসলেই পারবেন। সাহস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ অসুস্থ হলে পুরো ডিপার্টমেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভিড় জমায়। পুরো সিলেটে একজন স্পেশালিষ্ট সেই রোগের থাকলে সেই একজনকেই চিকিৎসা করানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়। কেউ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে টিচাররা নেতৃত্বে দিয়ে অর্ধকোটি টাকার ফান্ড ম্যানেজ করে দেন। আপনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে যদি চান এমন একটি সার্কেল তৈরি করবো, পড়াশোনাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবো অবশ্যই সম্ভব হবে। আপনি ভাবছেন মানবিক হওয়ার কথা কেনো বলছি? সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট রাখা প্রয়োজন। ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার আগে ভালো মানুষ হওয়াটা জরুরী।   ধার করে একটা কথা বলি,  সাদা-কালো যুগে বলা হতো – Knowledge is power.  মাঝখানে একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বলা হতো Technology is power আর এখন বলা হয় Networking is power. আপনি শুধুই পড়াশোনাকে টার্গেট রাখলে খুব বেশীদূর এগিয়ে যেতে পারবেননা। আপনি অন্যজনকে যতোটা গুরুত্ব দিবেন। তিনিও আপনাকে সচারাচর ততোটাই গুরুত্ব দিবেন। তেল মেরে বড় হতে চাইলে হঠাৎ করে পড়ে যাবেন। আপনাকে সকলকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি এমন একটি সার্কেল তৈরি করুন যারা আপনাকে সবসময় এগিয়ে চলার সাহস দেবে, বিপদে পড়লে একজন অন্যজনের জন্য সারামাসের টিউশনির জমানো টাকা ব্যয় করতে চাইবে। তাদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হবে তারা সময়কে কোনো না কোনো ভালো কাজে লাগাবে। Chatting, Dating, Cheating এইসব থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তবে Travelling হলে কোনো আপত্তি নেই।

অনেক মেয়েরা একটু চিন্তায় থাকে যদি বুয়েট বা ঢাবিতে পড়ুয়া কেউ প্রোপোজ করে! করলেই ক্যারিয়ারকে গুড বাই দিয়ে দেয়। এধরণের চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। “মেয়ে আমি সমানে সমান, নইতো কোনো কম” Beauty with brain হলে অভিনন্দন। এমনভাবে নিজেকে তৈরি করো বুয়েটের ছেলেমেয়েরা যেনো তোমার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ছেলে বা মেয়ে যেই হোননা কেনো এক মিনিট সময় আড্ডা দিয়ে কাটালেও এই ভাবনা মাথায় আসতে হবে -“এই এক মিনিট হয়তো আমি ব্যবহার করতে পারতাম ভালো কাজে।” আমি নিউজ প্রেজেন্টেশন এর কাজ করতাম একটি ইউএসএ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে। সেখানে DIU এর কয়েকজন সহকর্মী ছিলো। তারা কতোটা সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পারে কল্পনারও বাইরে। আমি একজন আপুকে দেখেছি যাকে দেখলে ডিসি ইউএনও দাঁড়িয়ে যায় একজন সফল উদ্দোক্তা হওয়ার জন্য যার দৈনিক আয় লক্ষাধিক টাকা।  কোনো পারিবারিক সাপোর্ট ছাড়াই শূণ্য থেকে শূরু হওয়া এই মানুষটি  আজ প্রতিষ্ঠিত।  স্বপ্ন দেখুন পৃথিবী জয়ের। আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন একটা প্রাইমারি স্কুলের চাকরি পেলেই সন্তুষ্ট তাহলে স্বপ্ন দেখায় এখনও শেখেননি। এমন মানুষকে সাথে নিন যিনি নিজে স্বপ্ন দেখা জানেন। বিয়ের প্রথম বৈশিষ্ট্য হোক প্রিয় মানুষটি ধর্মানুরাগী হওয়ার পাশাপাশি কতোটা ডাইভার্স স্বপ্ন দেখতে জানে।

আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট স্কোপ বলবো এবং পূরণের পথ দেখিয়ে দিবো। আশা করি খুব ভালো ধারণা দেবে।

একঃ  যদি স্বপ্ন থাকে আমি সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএস ক্যাডার হতে চাই তাহলে আপনি যে ইয়ারে থাকুননা কেনো  বেশীরভাগ সময়ই বই নিয়ে পড়ে থাকুন সেটা কোন প্রকাশনীর বই ব্যাপার নয়। আগেতো পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। জেদ নিয়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে পড়াশোনা ও বিনোদন একসাথে রাখুন। গ্রুপ স্টাডি করতে করতে গল্পের সাথে পড়ুন। কিন্তু পড়ুন। সবচেয়ে স্মার্ট পদ্ধতি আপনি একটি স্থায়ী পাশাপাশি আর্নিং সোর্স তৈরি করুন। যেমনঃ টিউশনির টাকা জমিয়ে একটি শো রুম দিতে পারেন, ফুটপাতে ফুডকোর্ট বা দই বিক্রির দোকান দিতে পারেন। যে কাজে আপনাকে সময় দিতে হবে কম ও আপনি ম্যানেজমেন্টে থাকতে পারেন সে-ধরনের ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন।  তবে চাকরির পরীক্ষা দেয়ার পূর্ববর্তী সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে। কারণ এদেশে পড়াশোনা  দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার কয়েকগুণ কঠিন। আমি এক ভাইকে দেখেছি যিনি বাসার পাশে সরকারি কলেজ পড়েছেন।  বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন কর্মকর্তা।  বুয়েট-মেডিকেল পাশ করা ছেলেমেয়েরা তাঁর কাছে পড়তে আসে। মাঝে মাঝে টকশোতে দেখা যায়। আপনিও পারবেন অবশ্যই।

দুইঃ বাংলাদেশে চেয়ার-টেবিল এর চাকরি খুব সীমিত।  আপনি ভাবছেন বিসিএস ক্যাডার হওয়াই সর্বোচ্চ সফলতা! তাহলে RFL, স্বপ্ন, যমুনা গ্রুপ,বসুন্ধরা গ্রুপ এনারা বিসিএস ক্যাডার এর চেয়ে কম সফল? বিসিএস ক্যাডার এনাদের সাথে কথা বলার জন্য সিরিয়াল দেন।  কোটি টাকার পুজি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন? চায়নায় যেমন বাড়ি বাড়ি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশেও তেমনই এফ কমার্স বেইজ (ফেইসবুক ভিত্তিক পেইজ খুলে)  বিজনেস করছে অনেকেই। আপনি এভাবে ছোটখাটোভাবে শুরু করে ম্যানুফ্যাকচার এর দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। যেমনঃ আপনি বাঁশ এর ফার্নিচার বিক্রি শুরু করলেন কিন্তু স্বপ্ন থাকবে বাঁশ এর ইন্ডাস্ট্রি দেয়া। দশ হাজার টাকার পুজি যথেষ্ট।  আপনি ফুড নিয়ে কাজ শুরু করবেন কিন্তু আপনার স্বপ্ন থাকবে বিশ্বমানের ক্যাটারিং সার্ভিস তৈরি যেমন Khan’s Kitchen দিনে এক হাজার মানুষকে মিল দেয়। পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি যথেষ্ট। যেখানে ক্যামিক্যাল ইন্জিনিয়ার,  ফুড ইন্জিনিয়াররাও নিয়মিত ডিউটি করছেন বিশ্বমানের শেপ এর পাশাপাশি।  আপনি যদি শুধু বিজনেস করতে শেখেন তাহলে খুব বেশীদূর এগিয়ে যেতে পারবেননা। বিভিন্ন বিজনেস ব্রান্ড দেখবেন সরকারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে কিংবা সোসাল কন্ট্রিবিউশান করে। এটা কিন্তু স্বার্থগত কারণে বিভিন্ন প্রয়েজনে করেন। বন্ধুত্ব করা শেখেন। সম্পর্ক তৈরি করা শিখুন। যতো মানুষের সাথে সুসম্পর্ক করবেন, উপকার করবেন আপনার ভেল্যু ততো বাড়বো। ওপরওয়ালাও সন্তুষ্ট হবেন।

তৃতীয়তঃ অনেক মূল্যবান কোর্স অনলাইনে করানো হয়। যেমনঃ পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় MIT কয়েকদিন আগে মেশিন লার্নিং এর ওপর কোর্স ফ্রী করে দিয়েছিলো অনলাইনে।  এর জন্য অবশ্যই ইন্জিনিয়ারিং সেক্টরের প্রাথমিক ভিত্তি দরকার যদি সেই অরিয়েন্টেড আপনার প্যাশন থাকে। এরকম অনেক Distance learning course আছে যা আপনার সিভিকে ভেল্যুয়েবল করবে। আপনি হয়তো সোসাল ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেননা। ইন্টারন্যাশনাল এনজিওগুলোতে অনেক স্থায়ী জব আছে যেগুলোর শুরুর বেতনই লক্ষাধিক টাকা।  প্রজেক্টগুলোতে এমন উচ্চমানের স্যালারি হয়। তবে প্রজেক্ট থেমে থাকেনা। নতুন নতুন প্রজেক্ট আসে।  আমেরিকায় নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়াতে পার্ট টাইম জব করে মাসে ১-২.৫ লক্ষ টাকা আয় করা যায়।  কিন্তু বাংলাদেশে ঘরে বসে আপনি  ফ্রিল্যান্সার ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করে সম পর্যায়ের টাকা আয় করতে পারবেন। আমি অনেককে দেখেছি আফ কেজি সার্টিফিকেট জমিয়েছে কোর্স করে কিন্তু ভাত পায়না। আপনি যে কাজটা করবেন পৃথিবীর সবচেয়ে মনোযোগ দেন। যদি আপনি টাইপ এর কাজ করেন তাহলে টার্গেট রাখুন বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রূত টাইপ যেনো আপনি করতে পারেন। যদি মাসে ১০০০ টাকা আয় এর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা লাগে সেটাই করুন কিন্তু করাটা শিখুন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই আমাকে বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা দিতে শেষ তাই সোসাল কাজে স্পেশালভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারেনা। আপনি শুধু হাই সিজি তোলার চেষ্টায় আছেন কিন্তু ভলেন্টিয়ারি, স্কিল বেইজ, লিডারশীপ বেইজ কাজে আপনার দক্ষতা নেই তাহলে আপনার সেই হাই সিজি খুব কাজে দেবেনা। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোতে যুক্ত থাকলেই হবেনা। মনে করুন আপনি ঢাকায় উত্তরায় থাকেন। আপনাকে বলা হলো ফার্মগেট-এ আসতে একটা ভলেন্টিয়াররিং কাজের জন্য।  আপনি বললেন এতোদূর কীভাবে যাই। আমারতো কয়েকদিন পর পরীক্ষা। তাহলে আপনি মন থেকে ভলেন্টিয়ারিং কাজ করছেননা। আপনার নামের আগে ভলেন্টিয়ার কথাটা শোভা পায়না। । লিডারশীপ এর গুণটা স্বল্প দেখা যাবে।  দেখবেন সিএসই পড়ে গান ডাউনলোড এর দোকান দেয়। আমি সকলকে সম্মান জানিয়ে বলছি প্রতিটা সেকেন্ডে কাজে লাগান আপনি যদি সিএসই নিয়ে পড়েন তাহলে প্রোগ্রামিংকে হাতে খড়ি করেন। শুধু কোস পাশ করার আশায় থাকলে চাকরি কে দেবে। ইন্ডিয়া থেকে যারা CEO হয়েছে তাদের বেশীরভাগ কমিউনিকেশন, লিডারশীপ স্কিল এর জন্য প্রাধান্য পেয়েছে।

চতুর্থতঃ আপনার মধ্যে এমন গুণ আছে যা অন্যদের থেকে আলাদা। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেককে বিশেষ কোনো গুণ দিয়েছেন।  সেই গুণটির জন্য আপনি সকলের থেকে বেশী মেধাবী বলে পরিচিত হবেন। সেই গুণটি খোঁজার দ্বায়িত্ব আপনার। Think out of box একটু ভিন্নকিছু করার চেষ্টা করুন। টিকটক, শর্ট ভিডিও এর পিছনে না পড়ে থেকে ইউটিউব, লিংকডিন,  গুগলকে শেখার মাধ্যম হিসেবে নিন। এমন অনেক সাইট আছে যেখানে একটা আর্টিকেল লিখলে আপনি কয়েক হাজার টাকা পাবেন। জবের সাইটগুলো ভিজিট করুন নিয়মিত।

স্বপ্ন দেখুন।  একজন অন্যজনকে ভালোবাসুন। মন থেকে সম্মান করুন। সকলে সকলের বিপদে এগিয়ে আসুন। এই বিষয়গুলো ন্যাশনালে পড়লে কম সুযোগ হয়। কিন্তু পরিবেশ তৈরি করুন। অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রশংসনীয়।  তবে নিজেরা শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন।

মূল কথা হলও বিসিএসসহ যেকোনো চাকরির পরীক্ষার জন্য আত্মবিশ্বাসটা অনেক বড় বিষয়। সঙ্গে যথাযথ গাইডলাইনও। যেমন আরব জাতি যখন সুপথ হারিয়ে ফেলেছিল তখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা হযরত মুহাম্মদ (স)কে প্রেরণ করেছিলেন তাদের গাইডলাইন প্রদানের জন্য। অতএব জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে গাইডলাইন বড় একটি বিষয়।

আমার এক বোনের কথা মনে পড়ছে যার স্বামী ঢাবিতে পড়েছিলেন। সেই বোনটি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দশ বছর কোনো সন্তান নেননি। মানুষ আপনাকে বলছে আপনাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। আপনি দেখিয়ে দিন আপনাকে দিয়ে সেরাটাই হবে। ঠিক এই মুহূর্ত থেকে শুরু করুন। শোককে শক্তিতে পরিণত করুন। পিছলে পড়ে যে উঠে দাঁড়াতে জানে হাঁটার অধিকার তারই। অনেক নীতিকথা বললাম? এই নীতিকথাগুলো সবার আগে জরুরী।

আপনি  বা আপনার প্রতিষ্ঠান যখন গ্লোবাল ব্রান্ড হবেন তখন শুধু দেশ নয় সারা পৃথিবী আপনাকে মূল্যায়ন করবে। একজন মানুষের কাছে মূল্যায়ন পাননি? দেখিয়ে দিন আপনার মূল্য, আপনার অর্জন। আপনি আপনার কর্মের দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হবেন ইনশা-আল্লাহ।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

ন্যাশনাল কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যাপার না। শিক্ষার্থীরা পৃথিবী জয় করার সক্ষমতা রাখে। শুধু সঠিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাওয়া ও স্বপ্ন ধরে রাখা প্রয়োজন

আপডেট টাইম : ০৭:১০:২০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

দীর্ঘদিন থেকে সকলের চাওয়া প্রাইভেট ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – এর স্কোপ ও সফলতা নিয়ে লেখা। আজ  প্রেসক্রিপশন দিবো ও ঔষধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো। মনে রাখবেন, যারা বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তারা যে আপনার চেয়ে অনেক মেধাবী এমনটা নয়। তাদের অনেকের চেয়ে আপনারা মেধাবী কিন্তু সঠিক জায়গায় আউটকাম দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সমুদ্রের পাশে দাঁড়ালে জল ও আকাশের মিলনমেলার বিশালতা দেখে মনে মুগ্ধতা চলে আসে।  ঠিক তেমনই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিশাল ক্যাম্পাস, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিজের মনের সংকীর্ণতা  দূর করে৷ ন্যাশনাল কিংবা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে আপনি যদি বলেন আমি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেখবো, সুবিশাল মনের অধিকারী হবো ও সে অনুযায়ী কাজ করবো তাহলে আপনি আসলেই পারবেন। সাহস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের কেউ অসুস্থ হলে পুরো ডিপার্টমেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভিড় জমায়। পুরো সিলেটে একজন স্পেশালিষ্ট সেই রোগের থাকলে সেই একজনকেই চিকিৎসা করানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়। কেউ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে টিচাররা নেতৃত্বে দিয়ে অর্ধকোটি টাকার ফান্ড ম্যানেজ করে দেন। আপনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে যদি চান এমন একটি সার্কেল তৈরি করবো, পড়াশোনাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবো অবশ্যই সম্ভব হবে। আপনি ভাবছেন মানবিক হওয়ার কথা কেনো বলছি? সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট রাখা প্রয়োজন। ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার আগে ভালো মানুষ হওয়াটা জরুরী।   ধার করে একটা কথা বলি,  সাদা-কালো যুগে বলা হতো – Knowledge is power.  মাঝখানে একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বলা হতো Technology is power আর এখন বলা হয় Networking is power. আপনি শুধুই পড়াশোনাকে টার্গেট রাখলে খুব বেশীদূর এগিয়ে যেতে পারবেননা। আপনি অন্যজনকে যতোটা গুরুত্ব দিবেন। তিনিও আপনাকে সচারাচর ততোটাই গুরুত্ব দিবেন। তেল মেরে বড় হতে চাইলে হঠাৎ করে পড়ে যাবেন। আপনাকে সকলকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি এমন একটি সার্কেল তৈরি করুন যারা আপনাকে সবসময় এগিয়ে চলার সাহস দেবে, বিপদে পড়লে একজন অন্যজনের জন্য সারামাসের টিউশনির জমানো টাকা ব্যয় করতে চাইবে। তাদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হবে তারা সময়কে কোনো না কোনো ভালো কাজে লাগাবে। Chatting, Dating, Cheating এইসব থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তবে Travelling হলে কোনো আপত্তি নেই।

অনেক মেয়েরা একটু চিন্তায় থাকে যদি বুয়েট বা ঢাবিতে পড়ুয়া কেউ প্রোপোজ করে! করলেই ক্যারিয়ারকে গুড বাই দিয়ে দেয়। এধরণের চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। “মেয়ে আমি সমানে সমান, নইতো কোনো কম” Beauty with brain হলে অভিনন্দন। এমনভাবে নিজেকে তৈরি করো বুয়েটের ছেলেমেয়েরা যেনো তোমার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ছেলে বা মেয়ে যেই হোননা কেনো এক মিনিট সময় আড্ডা দিয়ে কাটালেও এই ভাবনা মাথায় আসতে হবে -“এই এক মিনিট হয়তো আমি ব্যবহার করতে পারতাম ভালো কাজে।” আমি নিউজ প্রেজেন্টেশন এর কাজ করতাম একটি ইউএসএ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে। সেখানে DIU এর কয়েকজন সহকর্মী ছিলো। তারা কতোটা সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পারে কল্পনারও বাইরে। আমি একজন আপুকে দেখেছি যাকে দেখলে ডিসি ইউএনও দাঁড়িয়ে যায় একজন সফল উদ্দোক্তা হওয়ার জন্য যার দৈনিক আয় লক্ষাধিক টাকা।  কোনো পারিবারিক সাপোর্ট ছাড়াই শূণ্য থেকে শূরু হওয়া এই মানুষটি  আজ প্রতিষ্ঠিত।  স্বপ্ন দেখুন পৃথিবী জয়ের। আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন একটা প্রাইমারি স্কুলের চাকরি পেলেই সন্তুষ্ট তাহলে স্বপ্ন দেখায় এখনও শেখেননি। এমন মানুষকে সাথে নিন যিনি নিজে স্বপ্ন দেখা জানেন। বিয়ের প্রথম বৈশিষ্ট্য হোক প্রিয় মানুষটি ধর্মানুরাগী হওয়ার পাশাপাশি কতোটা ডাইভার্স স্বপ্ন দেখতে জানে।

আমি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট স্কোপ বলবো এবং পূরণের পথ দেখিয়ে দিবো। আশা করি খুব ভালো ধারণা দেবে।

একঃ  যদি স্বপ্ন থাকে আমি সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএস ক্যাডার হতে চাই তাহলে আপনি যে ইয়ারে থাকুননা কেনো  বেশীরভাগ সময়ই বই নিয়ে পড়ে থাকুন সেটা কোন প্রকাশনীর বই ব্যাপার নয়। আগেতো পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। জেদ নিয়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে পড়াশোনা ও বিনোদন একসাথে রাখুন। গ্রুপ স্টাডি করতে করতে গল্পের সাথে পড়ুন। কিন্তু পড়ুন। সবচেয়ে স্মার্ট পদ্ধতি আপনি একটি স্থায়ী পাশাপাশি আর্নিং সোর্স তৈরি করুন। যেমনঃ টিউশনির টাকা জমিয়ে একটি শো রুম দিতে পারেন, ফুটপাতে ফুডকোর্ট বা দই বিক্রির দোকান দিতে পারেন। যে কাজে আপনাকে সময় দিতে হবে কম ও আপনি ম্যানেজমেন্টে থাকতে পারেন সে-ধরনের ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন।  তবে চাকরির পরীক্ষা দেয়ার পূর্ববর্তী সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে। কারণ এদেশে পড়াশোনা  দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার কয়েকগুণ কঠিন। আমি এক ভাইকে দেখেছি যিনি বাসার পাশে সরকারি কলেজ পড়েছেন।  বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন কর্মকর্তা।  বুয়েট-মেডিকেল পাশ করা ছেলেমেয়েরা তাঁর কাছে পড়তে আসে। মাঝে মাঝে টকশোতে দেখা যায়। আপনিও পারবেন অবশ্যই।

দুইঃ বাংলাদেশে চেয়ার-টেবিল এর চাকরি খুব সীমিত।  আপনি ভাবছেন বিসিএস ক্যাডার হওয়াই সর্বোচ্চ সফলতা! তাহলে RFL, স্বপ্ন, যমুনা গ্রুপ,বসুন্ধরা গ্রুপ এনারা বিসিএস ক্যাডার এর চেয়ে কম সফল? বিসিএস ক্যাডার এনাদের সাথে কথা বলার জন্য সিরিয়াল দেন।  কোটি টাকার পুজি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন? চায়নায় যেমন বাড়ি বাড়ি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশেও তেমনই এফ কমার্স বেইজ (ফেইসবুক ভিত্তিক পেইজ খুলে)  বিজনেস করছে অনেকেই। আপনি এভাবে ছোটখাটোভাবে শুরু করে ম্যানুফ্যাকচার এর দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। যেমনঃ আপনি বাঁশ এর ফার্নিচার বিক্রি শুরু করলেন কিন্তু স্বপ্ন থাকবে বাঁশ এর ইন্ডাস্ট্রি দেয়া। দশ হাজার টাকার পুজি যথেষ্ট।  আপনি ফুড নিয়ে কাজ শুরু করবেন কিন্তু আপনার স্বপ্ন থাকবে বিশ্বমানের ক্যাটারিং সার্ভিস তৈরি যেমন Khan’s Kitchen দিনে এক হাজার মানুষকে মিল দেয়। পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি যথেষ্ট। যেখানে ক্যামিক্যাল ইন্জিনিয়ার,  ফুড ইন্জিনিয়াররাও নিয়মিত ডিউটি করছেন বিশ্বমানের শেপ এর পাশাপাশি।  আপনি যদি শুধু বিজনেস করতে শেখেন তাহলে খুব বেশীদূর এগিয়ে যেতে পারবেননা। বিভিন্ন বিজনেস ব্রান্ড দেখবেন সরকারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে কিংবা সোসাল কন্ট্রিবিউশান করে। এটা কিন্তু স্বার্থগত কারণে বিভিন্ন প্রয়েজনে করেন। বন্ধুত্ব করা শেখেন। সম্পর্ক তৈরি করা শিখুন। যতো মানুষের সাথে সুসম্পর্ক করবেন, উপকার করবেন আপনার ভেল্যু ততো বাড়বো। ওপরওয়ালাও সন্তুষ্ট হবেন।

তৃতীয়তঃ অনেক মূল্যবান কোর্স অনলাইনে করানো হয়। যেমনঃ পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় MIT কয়েকদিন আগে মেশিন লার্নিং এর ওপর কোর্স ফ্রী করে দিয়েছিলো অনলাইনে।  এর জন্য অবশ্যই ইন্জিনিয়ারিং সেক্টরের প্রাথমিক ভিত্তি দরকার যদি সেই অরিয়েন্টেড আপনার প্যাশন থাকে। এরকম অনেক Distance learning course আছে যা আপনার সিভিকে ভেল্যুয়েবল করবে। আপনি হয়তো সোসাল ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেননা। ইন্টারন্যাশনাল এনজিওগুলোতে অনেক স্থায়ী জব আছে যেগুলোর শুরুর বেতনই লক্ষাধিক টাকা।  প্রজেক্টগুলোতে এমন উচ্চমানের স্যালারি হয়। তবে প্রজেক্ট থেমে থাকেনা। নতুন নতুন প্রজেক্ট আসে।  আমেরিকায় নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়াতে পার্ট টাইম জব করে মাসে ১-২.৫ লক্ষ টাকা আয় করা যায়।  কিন্তু বাংলাদেশে ঘরে বসে আপনি  ফ্রিল্যান্সার ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করে সম পর্যায়ের টাকা আয় করতে পারবেন। আমি অনেককে দেখেছি আফ কেজি সার্টিফিকেট জমিয়েছে কোর্স করে কিন্তু ভাত পায়না। আপনি যে কাজটা করবেন পৃথিবীর সবচেয়ে মনোযোগ দেন। যদি আপনি টাইপ এর কাজ করেন তাহলে টার্গেট রাখুন বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রূত টাইপ যেনো আপনি করতে পারেন। যদি মাসে ১০০০ টাকা আয় এর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা লাগে সেটাই করুন কিন্তু করাটা শিখুন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই আমাকে বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা দিতে শেষ তাই সোসাল কাজে স্পেশালভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারেনা। আপনি শুধু হাই সিজি তোলার চেষ্টায় আছেন কিন্তু ভলেন্টিয়ারি, স্কিল বেইজ, লিডারশীপ বেইজ কাজে আপনার দক্ষতা নেই তাহলে আপনার সেই হাই সিজি খুব কাজে দেবেনা। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোতে যুক্ত থাকলেই হবেনা। মনে করুন আপনি ঢাকায় উত্তরায় থাকেন। আপনাকে বলা হলো ফার্মগেট-এ আসতে একটা ভলেন্টিয়াররিং কাজের জন্য।  আপনি বললেন এতোদূর কীভাবে যাই। আমারতো কয়েকদিন পর পরীক্ষা। তাহলে আপনি মন থেকে ভলেন্টিয়ারিং কাজ করছেননা। আপনার নামের আগে ভলেন্টিয়ার কথাটা শোভা পায়না। । লিডারশীপ এর গুণটা স্বল্প দেখা যাবে।  দেখবেন সিএসই পড়ে গান ডাউনলোড এর দোকান দেয়। আমি সকলকে সম্মান জানিয়ে বলছি প্রতিটা সেকেন্ডে কাজে লাগান আপনি যদি সিএসই নিয়ে পড়েন তাহলে প্রোগ্রামিংকে হাতে খড়ি করেন। শুধু কোস পাশ করার আশায় থাকলে চাকরি কে দেবে। ইন্ডিয়া থেকে যারা CEO হয়েছে তাদের বেশীরভাগ কমিউনিকেশন, লিডারশীপ স্কিল এর জন্য প্রাধান্য পেয়েছে।

চতুর্থতঃ আপনার মধ্যে এমন গুণ আছে যা অন্যদের থেকে আলাদা। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেককে বিশেষ কোনো গুণ দিয়েছেন।  সেই গুণটির জন্য আপনি সকলের থেকে বেশী মেধাবী বলে পরিচিত হবেন। সেই গুণটি খোঁজার দ্বায়িত্ব আপনার। Think out of box একটু ভিন্নকিছু করার চেষ্টা করুন। টিকটক, শর্ট ভিডিও এর পিছনে না পড়ে থেকে ইউটিউব, লিংকডিন,  গুগলকে শেখার মাধ্যম হিসেবে নিন। এমন অনেক সাইট আছে যেখানে একটা আর্টিকেল লিখলে আপনি কয়েক হাজার টাকা পাবেন। জবের সাইটগুলো ভিজিট করুন নিয়মিত।

স্বপ্ন দেখুন।  একজন অন্যজনকে ভালোবাসুন। মন থেকে সম্মান করুন। সকলে সকলের বিপদে এগিয়ে আসুন। এই বিষয়গুলো ন্যাশনালে পড়লে কম সুযোগ হয়। কিন্তু পরিবেশ তৈরি করুন। অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রশংসনীয়।  তবে নিজেরা শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন।

মূল কথা হলও বিসিএসসহ যেকোনো চাকরির পরীক্ষার জন্য আত্মবিশ্বাসটা অনেক বড় বিষয়। সঙ্গে যথাযথ গাইডলাইনও। যেমন আরব জাতি যখন সুপথ হারিয়ে ফেলেছিল তখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা হযরত মুহাম্মদ (স)কে প্রেরণ করেছিলেন তাদের গাইডলাইন প্রদানের জন্য। অতএব জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে গাইডলাইন বড় একটি বিষয়।

আমার এক বোনের কথা মনে পড়ছে যার স্বামী ঢাবিতে পড়েছিলেন। সেই বোনটি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দশ বছর কোনো সন্তান নেননি। মানুষ আপনাকে বলছে আপনাকে দিয়ে কিছুই হবেনা। আপনি দেখিয়ে দিন আপনাকে দিয়ে সেরাটাই হবে। ঠিক এই মুহূর্ত থেকে শুরু করুন। শোককে শক্তিতে পরিণত করুন। পিছলে পড়ে যে উঠে দাঁড়াতে জানে হাঁটার অধিকার তারই। অনেক নীতিকথা বললাম? এই নীতিকথাগুলো সবার আগে জরুরী।

আপনি  বা আপনার প্রতিষ্ঠান যখন গ্লোবাল ব্রান্ড হবেন তখন শুধু দেশ নয় সারা পৃথিবী আপনাকে মূল্যায়ন করবে। একজন মানুষের কাছে মূল্যায়ন পাননি? দেখিয়ে দিন আপনার মূল্য, আপনার অর্জন। আপনি আপনার কর্মের দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হবেন ইনশা-আল্লাহ।