ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেন ঘুর্ঘটনা রুখতে চার বন্ধু আবিষ্কার করেছে ডিজিটাল রেল ক্রসিং

  • যশোর জেলা থেকে
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১১৯ ০.০০০ বার পাঠক

ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে চার বন্ধু আবিষ্কার করেছে ডিজিটাল রেল ক্রসিং। সেখানে ট্রেন আসার আগে রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে যাবে। শনিবার সকালে যশোর সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় এ আবিষ্কারটি প্রদর্শনী করে সাজিন আহম্মেদ জয়, এম রোকনুজ্জামান, তাহমিদ মৃধাসহ চার বন্ধু। তারা সদর উপজেলার রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রজেক্টের দলনেতা সাজিন আহম্মেদ জয় জানান, বিদ্যালয়ের পাশে একটি রেল ক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নতুন কোন প্রযুক্তি আবিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক কিট সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন তারা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আরডিনো, আল্ট্রাসোনিক সেন্সর, জাম্পার ওয়্যার, ব্রেড বোর্ড, সার্বো মোটর, সর্বোপরি বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রজেক্টটি তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা।এতে দেখা যায়, রেল ক্রসিংয়ের কিছু দূরে লাগানো হয়েছে আল্ট্রাসোনিক সেন্সর। যার ফলে ট্রেনের আসার সময় উপস্থিতি টের পেয়ে স্বয়ংক্রিয় মোটরের মাধ্যমে রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার পড়ে যাচ্ছে। আবার ট্রেন চলে গেলে পুনরায় ব্যারিয়ারটি উঠে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন আসার সংকেত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে সাংকেতিক বাতি। আর এ প্রযুক্তিটি সঞ্চালিত হচ্ছে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক উপায়ে। ফলে প্রয়োজন হচ্ছে না কোন গেট ম্যান। রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক বিএম জহুরুল পারভেজ বলেন, তাদের স্কুলের পাশে একটি রেল ক্রসিং রয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নজরে আসছে তারা দুর্ঘটনা রুখতে একটি প্রযুক্তি আবিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি আরও বলেন, তারা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক কিট সংগ্রহ করে ডিজিটাল রেল ক্রসিং আবিষ্কার করেছে। সরকার যদি এটি গ্রহণ করে বাস্তবায়নে কাজে লাগায় তাহলে ট্রেন দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। গতকাল ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই প্রজেক্টটি। যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির ডিজিটাল রেল ক্রসিং প্রজেক্টটা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের আবিষ্কৃত এ প্রজেক্টটি যদি সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে জনসাধারণের জন্য অনেক নিরাপদ হবে। রেল দুর্ঘটনা।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রেন ঘুর্ঘটনা রুখতে চার বন্ধু আবিষ্কার করেছে ডিজিটাল রেল ক্রসিং

আপডেট টাইম : ১২:২১:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে চার বন্ধু আবিষ্কার করেছে ডিজিটাল রেল ক্রসিং। সেখানে ট্রেন আসার আগে রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ে যাবে। শনিবার সকালে যশোর সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় এ আবিষ্কারটি প্রদর্শনী করে সাজিন আহম্মেদ জয়, এম রোকনুজ্জামান, তাহমিদ মৃধাসহ চার বন্ধু। তারা সদর উপজেলার রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। প্রজেক্টের দলনেতা সাজিন আহম্মেদ জয় জানান, বিদ্যালয়ের পাশে একটি রেল ক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। রেল দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নতুন কোন প্রযুক্তি আবিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক কিট সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন তারা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে আরডিনো, আল্ট্রাসোনিক সেন্সর, জাম্পার ওয়্যার, ব্রেড বোর্ড, সার্বো মোটর, সর্বোপরি বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রজেক্টটি তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা।এতে দেখা যায়, রেল ক্রসিংয়ের কিছু দূরে লাগানো হয়েছে আল্ট্রাসোনিক সেন্সর। যার ফলে ট্রেনের আসার সময় উপস্থিতি টের পেয়ে স্বয়ংক্রিয় মোটরের মাধ্যমে রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার পড়ে যাচ্ছে। আবার ট্রেন চলে গেলে পুনরায় ব্যারিয়ারটি উঠে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন আসার সংকেত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে সাংকেতিক বাতি। আর এ প্রযুক্তিটি সঞ্চালিত হচ্ছে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক উপায়ে। ফলে প্রয়োজন হচ্ছে না কোন গেট ম্যান। রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক বিএম জহুরুল পারভেজ বলেন, তাদের স্কুলের পাশে একটি রেল ক্রসিং রয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নজরে আসছে তারা দুর্ঘটনা রুখতে একটি প্রযুক্তি আবিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি আরও বলেন, তারা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক কিট সংগ্রহ করে ডিজিটাল রেল ক্রসিং আবিষ্কার করেছে। সরকার যদি এটি গ্রহণ করে বাস্তবায়নে কাজে লাগায় তাহলে ট্রেন দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। গতকাল ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই প্রজেক্টটি। যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমির ডিজিটাল রেল ক্রসিং প্রজেক্টটা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের আবিষ্কৃত এ প্রজেক্টটি যদি সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে জনসাধারণের জন্য অনেক নিরাপদ হবে। রেল দুর্ঘটনা।