ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

চীন এখনই তাইওয়ানে হামলা করবে না: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অতিমাত্রায় আগ্রহ এবং চীনের হুশিয়ারি এ অঞ্চলের রাজনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিং সামরিক পন্থায় হাঁটার কথাও জানিয়ে রেখেছে।

তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, তাইওয়ানে এখনই হামলা করবে না চীন। রোববার তিনি বলেন, তাইওয়ানে এখনই চীনের হামলার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। তবে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক তৎপরতা চালিয়ে সেখানে ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বেইজিং।
উত্তেজনার মধ্যেই গত আগস্টে তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর পরই দ্বীপ রাষ্ট্রটির কাছাকাছি সামরিক মহড়া দেয় চীন।

এর পরও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তাইওয়ানে বেইজিংয়ের হামলার আশঙ্কা করছেন না।

আমরা কাছে মনে হচ্ছে— এখানে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চাইবে বেইজিং। তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের যুদ্ধবিমান মহড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি সেটি বেড়ে গেছে।চীনের জাহাজের চলাচলও বেড়ে গেছে তাইওয়ান ও এর আশপাশে।

অবশ্য চীনের মহড়া ও সামরিক কর্মকাণ্ডের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রেখে মহড়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি কানাডিয়ান ফ্রিগেট গত ২০ সেপ্টেম্বর তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে ট্রানজিট করে।

লয়েড অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখার কাজটি নিশ্চিত করতে আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এর পর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

চীন এখনই তাইওয়ানে হামলা করবে না: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অতিমাত্রায় আগ্রহ এবং চীনের হুশিয়ারি এ অঞ্চলের রাজনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিং সামরিক পন্থায় হাঁটার কথাও জানিয়ে রেখেছে।

তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, তাইওয়ানে এখনই হামলা করবে না চীন। রোববার তিনি বলেন, তাইওয়ানে এখনই চীনের হামলার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। তবে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক তৎপরতা চালিয়ে সেখানে ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বেইজিং।
উত্তেজনার মধ্যেই গত আগস্টে তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর পরই দ্বীপ রাষ্ট্রটির কাছাকাছি সামরিক মহড়া দেয় চীন।

এর পরও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তাইওয়ানে বেইজিংয়ের হামলার আশঙ্কা করছেন না।

আমরা কাছে মনে হচ্ছে— এখানে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চাইবে বেইজিং। তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের যুদ্ধবিমান মহড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি সেটি বেড়ে গেছে।চীনের জাহাজের চলাচলও বেড়ে গেছে তাইওয়ান ও এর আশপাশে।

অবশ্য চীনের মহড়া ও সামরিক কর্মকাণ্ডের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রেখে মহড়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি কানাডিয়ান ফ্রিগেট গত ২০ সেপ্টেম্বর তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে ট্রানজিট করে।

লয়েড অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখার কাজটি নিশ্চিত করতে আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এর পর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।