ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী খুনের ১০ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার:- আশিক।।
গাজীপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে বাসন থানা  জিএমপি পুলিশ। বাসন থানার তদন্ত ওসি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ দিকনির্দেশনায় একটি চৌকস টিম এস,আই, সাখাওয়াত, এ,এস,আই কামরুজ্জামান, এ,এস,আই ইব্রাহিম, কনেস্টেবল, মুরাদ এ ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামীকে ০৭/০৩/২২ ইং রোজ সোমবার গ্রেফতার করে। দাম্পত্য কলহের জেরে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে খুন করা হয়। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে বাসন থানা পুলিশ।
নিহতের নাম মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা থানাধীন নথপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। গ্রেফতারকৃতের নাম- রফিকুল ইসলাম (৪১)। সে নেত্রকোনা জেলা সদর থানার রৌহা এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি জনাব মোঃ মালেক খসরু খান জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় চাকুরির সুযোগে রফিকুল ইসলাম ও মিতার মাঝে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জের ধরে প্রায় দু’বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর হতে বণিবণা না হওয়ায় তারা আলাদা বাসায় বসবাস করতেন। গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় একা থেকে স্থানীয় ভোগড়া এলাকার জীম এন্ড জেসি গার্মেন্টস কারখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকুরি করতেন মিতা। রবিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশিদের সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতার লাশ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ। ময়না

তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, পুলিশ ক্লুলেস এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে সোমবার নেত্রকোনা থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মিতাকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলাটিপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। হত্যার পর নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। রফিকুলকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী খুনের ১০ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন, স্বামী গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০১:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার:- আশিক।।
গাজীপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে বাসন থানা  জিএমপি পুলিশ। বাসন থানার তদন্ত ওসি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ দিকনির্দেশনায় একটি চৌকস টিম এস,আই, সাখাওয়াত, এ,এস,আই কামরুজ্জামান, এ,এস,আই ইব্রাহিম, কনেস্টেবল, মুরাদ এ ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামীকে ০৭/০৩/২২ ইং রোজ সোমবার গ্রেফতার করে। দাম্পত্য কলহের জেরে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে খুন করা হয়। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে বাসন থানা পুলিশ।
নিহতের নাম মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা থানাধীন নথপাড়া এলাকার আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। গ্রেফতারকৃতের নাম- রফিকুল ইসলাম (৪১)। সে নেত্রকোনা জেলা সদর থানার রৌহা এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি জনাব মোঃ মালেক খসরু খান জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় চাকুরির সুযোগে রফিকুল ইসলাম ও মিতার মাঝে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জের ধরে প্রায় দু’বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর হতে বণিবণা না হওয়ায় তারা আলাদা বাসায় বসবাস করতেন। গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় একা থেকে স্থানীয় ভোগড়া এলাকার জীম এন্ড জেসি গার্মেন্টস কারখানায় কোয়ালিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকুরি করতেন মিতা। রবিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশিদের সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতার লাশ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ। ময়না

তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, পুলিশ ক্লুলেস এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে সোমবার নেত্রকোনা থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী মিতাকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গলাটিপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। হত্যার পর নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে দরজা তালাবদ্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। রফিকুলকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।