ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের পাঘাচং গ্রামের শ্যামল মিয়া তার গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছে পোল্ট্রি মুরগির খামার। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার শতাধিক মানুষ বলেন, শ্যামল মিয়া এলাকাতে টাকা পয়সা ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে, সে এলাকায় গড়ে তুলেছে বাণিজ্যিক পোল্টি মুরগীর খামার। তার বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় সে পোল্ট্রি মুরগির খামার গড়ে তুলেছে। আমরা ভয়ে তাকে কিছু বলতে পারিনা। কিছু বলতে গেলে সে বিভিন্নভাবে গ্রামের মানুষকে হুমকি ধমকী দেয়। গ্রামবাসী আরো জানায়, মুরগির এই মলের দুর্গন্ধে, আমরা গ্রামে বসবাস করতে পারছি না। জানা যায় শ্যামল মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। ক্ষমতা দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক মুরগির খামার গড়ে তুলেছে শ্যামল মিয়া। সাংবাদিকদের কাছে বলেন, দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা যাচ্ছে না। আপনাদের মাধ্যমে একটা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এটা আমরা চাই। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শ্যামল মিয়া বলেন, আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরে চাকরি করেন? আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক যে আমাকে প্রশ্ন করছেন? শ্যামল মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ ডেজার ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বলেও সূত্রে জানা যায়। সে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামীলিগের ক্ষমতাধর নেতা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ড্রেজার ও বালুর ব্যবসা করতো। এই ক্ষমতাধর শ্যামল মিয়ার খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায় নিরীহ গ্রামবাসী? শ্যামল মিয়ার আবাসিক এলাকায়, এই খামার গড়ে তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাখিবুল হাসান জানায়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কোনো মুরগির খামার করতে পারবে না, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি, ব্যবস্থা নিবো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট টাইম : ০৭:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের পাঘাচং গ্রামের শ্যামল মিয়া তার গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছে পোল্ট্রি মুরগির খামার। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার শতাধিক মানুষ বলেন, শ্যামল মিয়া এলাকাতে টাকা পয়সা ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে, সে এলাকায় গড়ে তুলেছে বাণিজ্যিক পোল্টি মুরগীর খামার। তার বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় সে পোল্ট্রি মুরগির খামার গড়ে তুলেছে। আমরা ভয়ে তাকে কিছু বলতে পারিনা। কিছু বলতে গেলে সে বিভিন্নভাবে গ্রামের মানুষকে হুমকি ধমকী দেয়। গ্রামবাসী আরো জানায়, মুরগির এই মলের দুর্গন্ধে, আমরা গ্রামে বসবাস করতে পারছি না। জানা যায় শ্যামল মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। ক্ষমতা দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক মুরগির খামার গড়ে তুলেছে শ্যামল মিয়া। সাংবাদিকদের কাছে বলেন, দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা যাচ্ছে না। আপনাদের মাধ্যমে একটা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এটা আমরা চাই। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শ্যামল মিয়া বলেন, আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরে চাকরি করেন? আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক যে আমাকে প্রশ্ন করছেন? শ্যামল মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ ডেজার ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বলেও সূত্রে জানা যায়। সে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামীলিগের ক্ষমতাধর নেতা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ড্রেজার ও বালুর ব্যবসা করতো। এই ক্ষমতাধর শ্যামল মিয়ার খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায় নিরীহ গ্রামবাসী? শ্যামল মিয়ার আবাসিক এলাকায়, এই খামার গড়ে তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাখিবুল হাসান জানায়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কোনো মুরগির খামার করতে পারবে না, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি, ব্যবস্থা নিবো।