ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

- আপডেট টাইম : ০২:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুরের কাশিমপুরে সাংবাদিক কার্যালয়ের ভাড়া টাকা না দেওয়ায় ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল লতিফ মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন আনন্দ টিভি ও সময়ের কণ্ঠস্বর পত্রিকার প্রতিনিধি মুক্তাসিম শিকদার রাজিব।
রবিবার (২০ এপ্রিল) কাশিমপুর ৬ নং ওয়ার্ড ভূমি অফিসের নায়েবের কাছে নিউজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান কাশিমপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজের তীব্র ও প্রতিবাদ জানান এবং আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেন আব্দুল লতিফ মিয়া তিনি আরও জানান, আনন্দ টিভি ও সময়ের কণ্ঠস্বর পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে মুত্তাসিম শিকদার রাজিবসহ তিন থেকে চারজন ব্যক্তি কাশিমপুর ভূমি অফিসে এসে কার্যালয়ের ভাড়া বাবদ ৪ হাজার টাকা দাবি করেন।
কিন্তু অফিস কর্তৃপক্ষ টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকায় তারা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সরকারি অফিসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবী করেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, এরা সাংবাদিকতার নামে ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
এখানে নামজারি অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু আবেদন করা হয় তিনি আরো জানান ভূমি কর্মকর্তারা সব সময় গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকেন তাইলে ভূমি অফিসে কিভাবে উতকুত গ্রহণ করে
ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ইতিপূর্বেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাব ও কাশিমপুর প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন মুত্তাসিম শিকদার রাজিব।
তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় সাংবাদিক সমাজ তার সঙ্গে সব ধরনের পেশাগত ও সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
এদিকে, রাজিবের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় একাধিক অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। কাশিমপুর থানার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তার নামে দায়েরকৃত জিডিগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিডি নম্বর ২৬৪, যাতে তার বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, “রাজিবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্তাধীন। যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিক সমাজ আশা করছে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাশিমপুর অঞ্চলে গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় থাকবে।