ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতির সীমা পেরিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালু উত্তোলন ,পরিবেশ বিপন্ন দেখার মত কেউ নেই।। মদনায় ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা, আহত ও অপহরণ মামলার আসামির টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন আগামীকাল মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী, সিলেটে উচ্ছ্বাস ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ ২০১৪ সালে আ.লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের কী সমঝোতা হয়েছিল জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে মুহুর্মুহু হামলা চলছে, নিহত বেড়ে ৫৩ দিনাজপুর জেলা জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত বুড়িশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর হুররিয়াতের।

এর আগেগত ২০ জানুয়ারি এরদোগান বলেছিলেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেস্কিকে আঙ্কারায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের এই বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ করার কারণ হলো তাদের কিছু স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত।

২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। তাদের তৈরি বায়রাকতার টিভি২ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন।

যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তাহলে তুরস্কের ড্রোন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে। ইউক্রেনের কাছে আরও ড্রোন বিক্রির চুক্তি করেছে তুরস্ক।

এই ড্রোন ইউক্রেনের মাটিতেই তৈরি করার জন্য একটি কারখানা বানানোর কাজ করে যাচ্ছে দেশটি।

আরেকটি বিষয় হলো, রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযানে যুক্ত আছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল তুরস্ক। কারণ প্রতিবছর রাশিয়া থেকে অনেক পর্যটক আসে দেশটিতে। এরমাধ্যমে বৈদশিক মুদ্রা আয় করে তারা।

আরেকটি বড় বিষয় সেটি হলো, তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। আর ন্যাটোতে তাদের রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য। ফলে ন্যাটো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায় তখন তুরস্কের থাকতে হবে সবার আগে।

এ কারণে তুরস্ক যেকোনোভাবে নিরপেক্ষ থাকতে চায়।  সবার আগে এরদোগানের প্রচেষ্টা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এ কারণেই উত্তেজনার পারদ নিচে নামানো জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান

আপডেট টাইম : ০৮:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর হুররিয়াতের।

এর আগেগত ২০ জানুয়ারি এরদোগান বলেছিলেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেস্কিকে আঙ্কারায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের এই বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ করার কারণ হলো তাদের কিছু স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত।

২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। তাদের তৈরি বায়রাকতার টিভি২ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন।

যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তাহলে তুরস্কের ড্রোন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে। ইউক্রেনের কাছে আরও ড্রোন বিক্রির চুক্তি করেছে তুরস্ক।

এই ড্রোন ইউক্রেনের মাটিতেই তৈরি করার জন্য একটি কারখানা বানানোর কাজ করে যাচ্ছে দেশটি।

আরেকটি বিষয় হলো, রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযানে যুক্ত আছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল তুরস্ক। কারণ প্রতিবছর রাশিয়া থেকে অনেক পর্যটক আসে দেশটিতে। এরমাধ্যমে বৈদশিক মুদ্রা আয় করে তারা।

আরেকটি বড় বিষয় সেটি হলো, তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। আর ন্যাটোতে তাদের রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য। ফলে ন্যাটো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায় তখন তুরস্কের থাকতে হবে সবার আগে।

এ কারণে তুরস্ক যেকোনোভাবে নিরপেক্ষ থাকতে চায়।  সবার আগে এরদোগানের প্রচেষ্টা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এ কারণেই উত্তেজনার পারদ নিচে নামানো জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান।