ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিগত সময়ে অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসাবে কাজ করেছে: প্রেস সচিব পাঁচ সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা আমীরে জামায়াতের সাথে ‘জুলাই’২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত যে আইনে আ.লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বৈঠকে বসছে উপদেষ্টা পরিষদ রাতব্যাপী আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান, ঘোষণা ট্রাম্পের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত শুরু সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে আজমিরীগঞ্জে সরকারি জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে কাজ

হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠকে যা বললেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৬৪ ১৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ভবানীপুরের ষোল আনা মসজিদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্য পার্টির কো–অর্ডিনেটর অমিত মালব্য।

বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে মমতা বলেন, ‘‌আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। আমি মন্দিরেও গিয়েছি। গুরুদ্বারেও গিয়েছিলাম। বিজেপির এই ধরনের আচরণ পছন্দ করি না। গুজরাতি হোক, মারোয়াড়ি হোক কারও খারাপ চাই না। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। যার যা ধর্ম তাই করুন।’‌

গুরুদ্বারে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। পাঞ্জাব যাবার ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন।

সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‌গুজরাত হোক, রাজস্থান হোক, উত্তরপ্রদেশ হোক বা বাংলা হোক, প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক সংস্কৃতি আছে। আমি রাজস্থানে গেলে যেমন আজমেঢ় শরিফে যাব। তেমনই পুষ্করেও যাই। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল। ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। বাংলাই হিন্দুস্তানকে রক্ষা করবে। হিন্দুস্তান কখনও পাকিস্তান হবে না। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন।’‌

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা একদিকে যেমন সম্প্রীতির তেমনই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দফতরে ফিরহাদ হাকিমকে প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়ার নালিশ ঠুকেছে বিজেপি। অভিযোগ, তিনি নাকি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। আবার বিজেপি প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে মেজাজ হারিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিতে। এখানে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শিশু মৃত্যু নিয়ে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তারপর আসেন ভবানীপুরে।

উল্লেখ্য, ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর তাই এখানে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এই বিষয়ে তিনি আজ বলেন, ‘‌শোভনদা আমাকে ভবানীপুরে জায়গা ছেড়ে দিল। ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। আমি সাধারণ মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে আমি ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’‌

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠকে যা বললেন মমতা

আপডেট টাইম : ১০:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ভবানীপুরের ষোল আনা মসজিদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্য পার্টির কো–অর্ডিনেটর অমিত মালব্য।

বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে মমতা বলেন, ‘‌আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। আমি মন্দিরেও গিয়েছি। গুরুদ্বারেও গিয়েছিলাম। বিজেপির এই ধরনের আচরণ পছন্দ করি না। গুজরাতি হোক, মারোয়াড়ি হোক কারও খারাপ চাই না। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। যার যা ধর্ম তাই করুন।’‌

গুরুদ্বারে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেন। পাঞ্জাব যাবার ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন।

সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‌গুজরাত হোক, রাজস্থান হোক, উত্তরপ্রদেশ হোক বা বাংলা হোক, প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক সংস্কৃতি আছে। আমি রাজস্থানে গেলে যেমন আজমেঢ় শরিফে যাব। তেমনই পুষ্করেও যাই। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল। ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। বাংলাই হিন্দুস্তানকে রক্ষা করবে। হিন্দুস্তান কখনও পাকিস্তান হবে না। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন।’‌

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা একদিকে যেমন সম্প্রীতির তেমনই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দফতরে ফিরহাদ হাকিমকে প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়ার নালিশ ঠুকেছে বিজেপি। অভিযোগ, তিনি নাকি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। আবার বিজেপি প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে মেজাজ হারিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিতে। এখানে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শিশু মৃত্যু নিয়ে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তারপর আসেন ভবানীপুরে।

উল্লেখ্য, ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর তাই এখানে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এই বিষয়ে তিনি আজ বলেন, ‘‌শোভনদা আমাকে ভবানীপুরে জায়গা ছেড়ে দিল। ঘরে ফিরতে পেরে খুশি। আমি সাধারণ মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে আমি ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’‌