ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে ফেসবুক ও ইউটিউবার আলমগীরগং গোজবে ব্যস্ত! চাঁদপুর মুসআব বিন উমাইর রা:মাসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে হুদাল্লিল মুত্তাক্কিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রি -ক্যাডেট স্কুল মহম্মদপুর আইডিয়াল একাডেমীর নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সাম্প্রীতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম হলেন সাংবাদিক সাকিল আহমেদ জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি, পেছালো শুনানি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, নিহত ৩০ সিন্ডিকেট করে ‘লুটপাট’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আজমিরীগঞ্জে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও  তীব্র শীতে  জন জীবন বিপর্যস্ত

প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন শেখ রেহানা: ওবায়দুল কাদের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবন-যাপন করেছিলেন তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও শেখ রেহানা বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। এ নির্মোহ এবং জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব শেখ রেহানার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সাপোর্টে দেশরত্ম শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক।

সোমবার রাজধানীর বাসভবনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনার জন্মদিন উপলক্ষে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন। তার সন্তানরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বৃটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রত্মগর্ভা মা শেখ রেহেনার বড় ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠ কন্যা আজমিকা সিদ্দিক রুপন্তি লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইজার (Global Risk Analyser) হিসেবে কাজ করছেন। সংকটে, সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, প্রেরণা ও শক্তির উৎস। ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও পর্দার অন্তরাল থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনাকে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে।

তিনি বলেন, প্রচার বিমুখ শেখ রেহানা কখনো লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অদম্য স্বপ্ন।

এসময় সমসায়মিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সাথে হাত মেলায় তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না।

বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।

তিনি বলেন, বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতা ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়কালে দেশবাসী দেখেছে।

শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহুবছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেওয়াল তুলেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে?

এসময় আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না।

ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন শেখ রেহানা: ওবায়দুল কাদের

আপডেট টাইম : ১০:৫৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এক কঠিন এবং সংগ্রামী জীবন-যাপন করেছিলেন তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও শেখ রেহানা বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। এ নির্মোহ এবং জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব শেখ রেহানার ত্যাগ, প্রেরণা এবং অন্তহীন সাপোর্টে দেশরত্ম শেখ হাসিনা আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক।

সোমবার রাজধানীর বাসভবনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনার জন্মদিন উপলক্ষে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত শেখ রেহানা লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করেন। চাকরি এবং পরিশ্রম করেই সন্তানদের মানুষ করেছেন। তার সন্তানরা আজ আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গঠন করেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে বৃটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্য।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রত্মগর্ভা মা শেখ রেহেনার বড় ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন এবং কনিষ্ঠ কন্যা আজমিকা সিদ্দিক রুপন্তি লন্ডনে গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইজার (Global Risk Analyser) হিসেবে কাজ করছেন। সংকটে, সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা, প্রেরণা ও শক্তির উৎস। ঠিক তেমনি শেখ রেহানাও পর্দার অন্তরাল থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনাকে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ রেহানাও সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন বড় বোন শেখ হাসিনার জীবনে।

তিনি বলেন, প্রচার বিমুখ শেখ রেহানা কখনো লাইম-লাইটে আসেন না। দেশ জাতি এবং গণতন্ত্রের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অদম্য স্বপ্ন।

এসময় সমসায়মিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা যারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের সাথে হাত মেলায় তারা কখনো সার্বভৌমত্বের রক্ষক হতে পারে না।

বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ভুলে গেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।

তিনি বলেন, বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতা ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল, যা তাদের সময়কালে দেশবাসী দেখেছে।

শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহুবছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধানতো করতে পারেইনি বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেওয়াল তুলেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে তৈরি করেছে সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন, যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তনের পর যারা ভারতীয় দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কী হতে পারে?

এসময় আওয়ামী লীগের হাতেই এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না।

ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।