আজমিরীগঞ্জে নোয়াগড় পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব কে কেন্দ্র করে দুই গুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক। উভয় পক্ষে দোকান লুটপাট ও ভাংচুর।

- আপডেট টাইম : ০২:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নোয়াগড় প্রামে পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাবের জের ধরে শাজাহান মেম্বার ও আক্তারের লোকজনের মধ্যে প্রায় দু ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মত ।এই ঘটনা টি ঘটে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে৷ সংঘর্ষে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানাগেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় গত কয়েক দিন আগে শাজাহান মেম্বারের পক্ষের মুজাহিদ মিয়া ও মদরিছ মিয়া দুই ভাই এর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই সময় আক্তার হোসেনের পক্ষের লতিফুর মেম্বারের ছেলে রাকিব ঝগড়া থামাতে আসলে তাহারা রাকিবকে মেরে আহত করে, এমনকি চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পথে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে আবার ও মার ধর করে। গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় জমি পুকুর, ডোবা, কাল, বিল ইজারা দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতিতে বেশ কিছু টাকা ও রয়েছে এর হিসাব কে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে বিরাজ করেছিল। জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মুকিত মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান, নোয়াগড় প্রামে পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় জমি পুকুর ডোবা কাল বিল ইজারা দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতিতে বেশ কিছু টাকা ও রয়েছে, লতিফুর মেম্বার কে এলাকার মহল্লার সর্দারের দায়িত্ব দিয়েছিল এবং এলাকার লোকজন মহল্লার টাকার হিসাব চায় কিন্তুু লতিফুর মেম্বার হিসাব দিতে গরিমসি করে যাচ্ছে। এবং প্রজেক্ট ডাক দেওয়া হয় তিনশত সত্তর টাকা করে এর বেশি নেওয়া যাবে না বলে উভয় পক্ষে অঙ্গীকার করে। কিন্তুু লতিফুর মেম্বার আরও পাঁচ শত টাকা বেশি করে আদায় করে নেয় এবং শাজাহান মেম্বারের লোকজন বাঁধা দেয়, ২৫শে এপ্রিল রোজ শুক্রবার প্রায় সকাল আনুমানিক নয় ঘটিকার সময় শাজাহান মেম্বার পক্ষের ট্রলি দিয়ে ধান নিয়ে যাচ্ছিল এই সময় আক্তারের পক্ষের রাব্বি সহ আরও কয়েকজন ধান আটকরে এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং উভয় পক্ষে দোকান পাট লুটপাট ও ভাংচুর করে। আজমিরীগঞ্জ থানায় খবর গেলে ঘটনা স্থলে থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান সহ এক দল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে শতাধিক আহত হয়। আহতরা হল মোঃ সাদ্দাম মিয়া, (৩৫), তকছির মিয়া,(২৮),ওয়াহিদুল (২৫),রসিদ (২৮),সাব্বির(১৮),ওয়াসিম(২৯),ধনু(৬০), কোহিনুর (২৫), সাগর(৫০), আবুসহিদ(৩৫)আজিমউদ্দিন( ২৮) সেনাবুর(৩৮), সরাজ(৫৫), সেলু(৪৫),আজিজুল (৫২),জাহাঙ্গীর (৪৮), আরও অনেক আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং গুরুতর অবস্থায় উভয় পক্ষের ১১জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় নেওয়া হয়। এই নিয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি এবি এম মাঈদুল হাসান এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সমিতির আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে উভয় পক্ষের আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।