ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া ডয়চে ভেলে

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৪:১২:০১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন অন্তত ২৯ হাজার বিক্ষোভকারী
এবার ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া। দেশটির একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে আন্দোলন শুরু হয়। এরপ থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খবর ডয়চে ভেলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে অন্তত ২৯ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকেরা।

গত সাত সপ্তাহ ধরে বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রোববারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, রোববার অন্তত ২৯ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে।

সম্প্রতি উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনে ভেঙে পড়েছিল ছাদ। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। অভযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়।

অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে দুইবার ওই স্টেশনে সংস্কারের কাজ হয়। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করানো হয়। কাজের নামে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এতেই ক্ষোভ বেড়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পিছনে আছে। কিন্তু রোববারের জমায়েত দেখার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

গত সাত সপ্তাহ ধরে সার্বিয়ায় যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির অভিনেতা, কৃষক ইউনিয়নের গোষ্ঠীও তাতে শামিল হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া ডয়চে ভেলে

আপডেট টাইম : ০৪:১২:০১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন অন্তত ২৯ হাজার বিক্ষোভকারী
এবার ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া। দেশটির একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে আন্দোলন শুরু হয়। এরপ থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খবর ডয়চে ভেলের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে অন্তত ২৯ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকেরা।

গত সাত সপ্তাহ ধরে বেলগ্রেডে একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে। তবে রোববারের জমায়েত ছিল ঐতিহাসিক। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, রোববার অন্তত ২৯ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে।

সম্প্রতি উত্তর সার্বিয়ার নভি সাদ স্টেশনে ভেঙে পড়েছিল ছাদ। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। অভযোগ ওঠে, দুর্নীতির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরেই সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন শুরু হয়।

অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে দুইবার ওই স্টেশনে সংস্কারের কাজ হয়। একটি চীনা সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করানো হয়। কাজের নামে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। চাপের মুখে সরকার ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তার মধ্যে একজন মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এতেই ক্ষোভ বেড়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বলেছিলেন, আন্দোলন নিয়ে তিনি এতটুকু চিন্তিত নন। বিরোধীরাই এই আন্দোলনের পিছনে আছে। কিন্তু রোববারের জমায়েত দেখার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

গত সাত সপ্তাহ ধরে সার্বিয়ায় যে আন্দোলন চলছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির অভিনেতা, কৃষক ইউনিয়নের গোষ্ঠীও তাতে শামিল হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।