ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

কোটা আন্দোলন ছয় সমন্বয়কের বিবৃতি: জোর করে বসিয়ে ভিডিও করা হয়, মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ আগস্ট ২০২৪
  • / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত আন্দোলন প্রত্যাহার করা সংক্রান্ত ভিডিও বার্তাটি তারা স্বেচ্ছায় দেননি। তাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তারা।

বিবৃতিদাতা ছয় সমন্বয়ক হলেন—মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। ছবি: সংগৃহীত
আরও

ছাড়া পেলেন ৬ সমন্বয়ক, গত ২ দিন ডিবি কার্যালয়ে তারা অনশনে ছিলেন

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় “নিরাপত্তার” নামে ছয় সমন্বয়ককে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।’

আরও

৬ সমন্বয়কের মুক্তি: আলটিমেটাম শেষে ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়। আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না।

‘যারা নিরস্ত্র ছাত্র-নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউই নিরাপদে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রহসনের নিরাপত্তা চাই না ৷ আমরা আমাদের ভাই বোনদের খুনের বিচার চাই।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটা আন্দোলন ছয় সমন্বয়কের বিবৃতি: জোর করে বসিয়ে ভিডিও করা হয়, মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ আগস্ট ২০২৪

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত আন্দোলন প্রত্যাহার করা সংক্রান্ত ভিডিও বার্তাটি তারা স্বেচ্ছায় দেননি। তাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তারা।

বিবৃতিদাতা ছয় সমন্বয়ক হলেন—মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। ছবি: সংগৃহীত
আরও

ছাড়া পেলেন ৬ সমন্বয়ক, গত ২ দিন ডিবি কার্যালয়ে তারা অনশনে ছিলেন

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় “নিরাপত্তার” নামে ছয় সমন্বয়ককে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।’

আরও

৬ সমন্বয়কের মুক্তি: আলটিমেটাম শেষে ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়। আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না।

‘যারা নিরস্ত্র ছাত্র-নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউই নিরাপদে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রহসনের নিরাপত্তা চাই না ৷ আমরা আমাদের ভাই বোনদের খুনের বিচার চাই।’