ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস Logo ইলিশ রক্ষায় ব্যার্থ মৎস অধিদপ্তর সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালালেন ইলিশ বোঝায় ট্রলার Logo সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের পরামর্শ সভা Logo মিরপুরে গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন Logo মার্চ টু সচিবালয়’ এ অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের ঢল Logo রাজধানীতে জামায়াতসহ সাত দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু Logo আমরা কারাগারে নয়, ছিলাম এক কসাইখানায়

সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে মুক্ত হলো ১০ পরিবার সরকারি রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করেছিল প্রভাবশালী তিন ভাই

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামে প্রায় ১৫ দিন ধরে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে ১০টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রভাবশালী পরিবারের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে অবশেষে উন্মুক্ত হয়েছে ওই পরিবারের চলাচলের পথ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হোসেনের নির্দেশে ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশের বেড়া অপসারণ করেন এবং অবরুদ্ধ পরিবারের চলাচলের পথ উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। এতে অবরুদ্ধ ১০টি পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনয়ারীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সোনাহারা গ্রামে প্রভাবশালী তিন ভাই—আব্দুল আউয়াল খান, মোতাহার হোসেন ও আব্দুল মতিন—সরকারি রাস্তা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে পথটি বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রামের মোহাম্মদ কোরবান আলী মণ্ডল, সবুজ মণ্ডল, তরিকুল মণ্ডল, শরিফুল মণ্ডল, হযরত মণ্ডল, মুমতাজ মণ্ডল, রমজান আলী, স্বপন হোসেন, আজগর আলী ও আব্দুল মাওয়াল খানসহ মোট ১০টি পরিবার প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের জানা মতে এটি বহু বছর ধরেই সরকারি রাস্তা। এটি কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।”

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি জানতে পারি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।”

অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর সদস্যরা গণমাধ্যম ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পরই তারা মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ পেয়েছেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে মুক্ত হলো ১০ পরিবার সরকারি রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করেছিল প্রভাবশালী তিন ভাই

আপডেট সময় ০৮:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামে প্রায় ১৫ দিন ধরে সরকারি রাস্তা বন্ধ করে ১০টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রভাবশালী পরিবারের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে অবশেষে উন্মুক্ত হয়েছে ওই পরিবারের চলাচলের পথ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হোসেনের নির্দেশে ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশের বেড়া অপসারণ করেন এবং অবরুদ্ধ পরিবারের চলাচলের পথ উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। এতে অবরুদ্ধ ১০টি পরিবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনয়ারীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সোনাহারা গ্রামে প্রভাবশালী তিন ভাই—আব্দুল আউয়াল খান, মোতাহার হোসেন ও আব্দুল মতিন—সরকারি রাস্তা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে পথটি বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রামের মোহাম্মদ কোরবান আলী মণ্ডল, সবুজ মণ্ডল, তরিকুল মণ্ডল, শরিফুল মণ্ডল, হযরত মণ্ডল, মুমতাজ মণ্ডল, রমজান আলী, স্বপন হোসেন, আজগর আলী ও আব্দুল মাওয়াল খানসহ মোট ১০টি পরিবার প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।

এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের জানা মতে এটি বহু বছর ধরেই সরকারি রাস্তা। এটি কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।”

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি জানতে পারি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।”

অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর সদস্যরা গণমাধ্যম ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পরই তারা মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ পেয়েছেন।


প্রিন্ট