ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭২, অনাহারে ৭

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলছেই ইসরাইলি বর্বরতা। ইসরাইলি বোমা বর্ষণের পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ৭২ জন নিহত হয়েছেন এছাড়া শুধু ক্ষুধায় মারা গেছেন আরও ৭ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭১৮ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে এক শিশুসহ আরও ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত একদিনে ৭২ জনের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও ৩৫৬ জন। এতে ইসরাইলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জনে। অনেক নিহত এখনো ধ্বংসস্তূপ আর রাস্তায় পড়ে আছে, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আরও ৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৮৭ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৬৫ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৯৪৮ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১১ জনে, যাদের মধ্যে ১৪২ জন শিশু।

এর মধ্যে শুধু গত মাসে জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকে ১৩৩ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু।

মূলত চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরাইল গাজার সব সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের জনপদটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে।

এরপর ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা শুরু করে। নতুন করে শুরু করে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৭০ জন নিহত এবং ৫১ হাজার ৮১৮ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭২, অনাহারে ৭

আপডেট সময় ১২:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলছেই ইসরাইলি বর্বরতা। ইসরাইলি বোমা বর্ষণের পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ৭২ জন নিহত হয়েছেন এছাড়া শুধু ক্ষুধায় মারা গেছেন আরও ৭ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭১৮ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে এক শিশুসহ আরও ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত একদিনে ৭২ জনের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও ৩৫৬ জন। এতে ইসরাইলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জনে। অনেক নিহত এখনো ধ্বংসস্তূপ আর রাস্তায় পড়ে আছে, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আরও ৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৮৭ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৬৫ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৯৪৮ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১১ জনে, যাদের মধ্যে ১৪২ জন শিশু।

এর মধ্যে শুধু গত মাসে জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকে ১৩৩ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু।

মূলত চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরাইল গাজার সব সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের জনপদটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে।

এরপর ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা শুরু করে। নতুন করে শুরু করে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৭০ জন নিহত এবং ৫১ হাজার ৮১৮ জন আহত হয়েছেন।


প্রিন্ট