ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন

রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আম-লিচু

তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে উত্তরাঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। গেল কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সাথে গুটিও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র দাবদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা।

এ উপজেলায় হিমসাগর, আম্রপালি ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ,বরি- ৪, আশ্বিনা, মল্লিকাসহ নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝড়ে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারার লিচু চাষী কামাল হোসেন জানান গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল, কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং জমিতে নিয়মিত সেছ দিচ্ছি, একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরেপড়া ঠেকাতে পারছিনা।
আম চাষী রাব্বি ইসলামের সাথে কথা হয়, তিনি সকালের সময়কে জানান, এ বছরের তাপদাহ খুব বেশি, এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে, বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা, এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি, ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।

রাণীশংকৈলে পৌর শহরের আম চাষী সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, নিয়মিত ভাবে আমরা সেচ দিয়ে যাচ্ছি, তারপরও আম ঝরে যাচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে ডিজেলের যে দাম লেভার খরচ বেশি, নিয়মিত সেচ দিতে হলে আমাদের বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাণীশংকৈলে, বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসেও দেখা মিলেনি বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের।

রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ, সময়ের কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ উপজেলায় ৬’শত হেক্টর আম ও ৬০ হেক্টর লিচু বাগান রয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, সেচের কোনো বিকল্প নেই।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত

রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আম-লিচু

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে উত্তরাঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। গেল কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সাথে গুটিও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র দাবদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা।

এ উপজেলায় হিমসাগর, আম্রপালি ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ,বরি- ৪, আশ্বিনা, মল্লিকাসহ নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝড়ে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারার লিচু চাষী কামাল হোসেন জানান গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল, কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং জমিতে নিয়মিত সেছ দিচ্ছি, একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরেপড়া ঠেকাতে পারছিনা।
আম চাষী রাব্বি ইসলামের সাথে কথা হয়, তিনি সকালের সময়কে জানান, এ বছরের তাপদাহ খুব বেশি, এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে, বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা, এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি, ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।

রাণীশংকৈলে পৌর শহরের আম চাষী সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, নিয়মিত ভাবে আমরা সেচ দিয়ে যাচ্ছি, তারপরও আম ঝরে যাচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে ডিজেলের যে দাম লেভার খরচ বেশি, নিয়মিত সেচ দিতে হলে আমাদের বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাণীশংকৈলে, বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসেও দেখা মিলেনি বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের।

রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ, সময়ের কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ উপজেলায় ৬’শত হেক্টর আম ও ৬০ হেক্টর লিচু বাগান রয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, সেচের কোনো বিকল্প নেই।