ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আম-লিচু

তাহেরুল ইসলাম তামিম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও)।
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে উত্তরাঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। গেল কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সাথে গুটিও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র দাবদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা।

এ উপজেলায় হিমসাগর, আম্রপালি ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ,বরি- ৪, আশ্বিনা, মল্লিকাসহ নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝড়ে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারার লিচু চাষী কামাল হোসেন জানান গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল, কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং জমিতে নিয়মিত সেছ দিচ্ছি, একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরেপড়া ঠেকাতে পারছিনা।
আম চাষী রাব্বি ইসলামের সাথে কথা হয়, তিনি সকালের সময়কে জানান, এ বছরের তাপদাহ খুব বেশি, এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে, বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা, এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি, ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।

রাণীশংকৈলে পৌর শহরের আম চাষী সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, নিয়মিত ভাবে আমরা সেচ দিয়ে যাচ্ছি, তারপরও আম ঝরে যাচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে ডিজেলের যে দাম লেভার খরচ বেশি, নিয়মিত সেচ দিতে হলে আমাদের বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাণীশংকৈলে, বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসেও দেখা মিলেনি বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের।

রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ, সময়ের কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ উপজেলায় ৬’শত হেক্টর আম ও ৬০ হেক্টর লিচু বাগান রয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, সেচের কোনো বিকল্প নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে যাচ্ছে আম-লিচু

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

তীব্র খরা আর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে উত্তরাঞ্চল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। গাছে পানি আর কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। গেল কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর গাছে মুকুল এসেছিল ব্যাপক। সেই সাথে গুটিও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছে আম ও লিচু। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় তীব্র দাবদাহে এখন দিশেহারা বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলন ধরে রাখতে বাড়তি পরিচর্যা করছেন তারা।

এ উপজেলায় হিমসাগর, আম্রপালি ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ,বরি- ৪, আশ্বিনা, মল্লিকাসহ নানান জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এপ্রিলের টানা তীব্র দাবদাহে এবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাগান মালিকদের। তীব্র তাপে ঝড়ে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি। সেচ ও প্রতিষেধক দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারার লিচু চাষী কামাল হোসেন জানান গত বছরের তুলনায় এবার গাছের ফল ভালো এসেছিল, কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু গাছে থেকে ঝরে যাচ্ছে, সবরকমের কীটনাশক এবং জমিতে নিয়মিত সেছ দিচ্ছি, একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে কিছু, তারপরও আমরা ঝরেপড়া ঠেকাতে পারছিনা।
আম চাষী রাব্বি ইসলামের সাথে কথা হয়, তিনি সকালের সময়কে জানান, এ বছরের তাপদাহ খুব বেশি, এতে আম খুব বেশি ঝরে যাচ্ছে, বাগানে সেচ দিলেও সমস্যা না দিলেও সমস্যা, এতে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি, ফলন নিয়ে আমরা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারি।

রাণীশংকৈলে পৌর শহরের আম চাষী সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, নিয়মিত ভাবে আমরা সেচ দিয়ে যাচ্ছি, তারপরও আম ঝরে যাচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে ডিজেলের যে দাম লেভার খরচ বেশি, নিয়মিত সেচ দিতে হলে আমাদের বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাণীশংকৈলে, বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসেও দেখা মিলেনি বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের।

রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ, সময়ের কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ উপজেলায় ৬’শত হেক্টর আম ও ৬০ হেক্টর লিচু বাগান রয়েছে, অনাবৃষ্টির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, সেচের কোনো বিকল্প নেই।