ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডাকসু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো সেনাবাহিনী Logo জয়পুরহাটে বগি লাইনচ্যুত, উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ Logo বাগেরহাট-৪ আসন পূর্ণবহুলের দাবিতে বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় হরতাল অবরোধের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে Logo ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Logo জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের জন্মদিনে শ্রদ্ধা, শুভকামনা ও অনুপ্রেরণার স্মৃতি Logo ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন// পরিদর্শনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল Logo সাভারে বিএনপির পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত Logo কাশিমপুরে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ Logo নেতাদের তেল দিয়েন না: পুলিশের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo আশুলিয়ায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত ৮ জন গ্রেপ্তার

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১০ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচনে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো সেনাবাহিনী

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?

আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার স্টোন আজকাল একটি বহুল পরিচিত স্বাস্থ্যসমস্যা। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরস চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং সেই পিত্তরস জমা থাকে একটি ছোট থলিতে, যাকে বলা হয় পিত্তথলি। কিন্তু পিত্তরসের রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হলে সেখানেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কেন হয়? কারা বেশি ঝুঁকিতে

পিত্তরসে থাকে পানি, কোলেস্টেরল, বিলিরুবিনসহ বিভিন্ন লবণ। এদের মধ্যে কোনো একটি উপাদান অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে পিত্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে এই রোগ পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্থূলতা আছে এমন ব্যক্তি, চল্লিশোর্ধ্ব নারী ও পুরুষ, কম শারীরিক পরিশ্রম করেন বা দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকেন- তাঁদের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণ ও করণীয়

পিত্তথলিতে পাথরকে অনেক সময় ‘নীরব রোগ’ বলা হয়, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। অনেকেই জানতেও পারেন না যে তাঁর পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ডান দিকের উপরের পেট বা মাঝপেটে অস্বস্তি, বমি, হজমের সমস্যা, জ্বর কিংবা চোখ-চামড়ায় হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অবহেলা করা হয়, ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

পিত্তথলির পাথর এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা, চর্বি কম খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবার গ্রহণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

পিত্তথলিতে পাথর হলে সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ, যা ‘ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি’ নামে পরিচিত। এটি নিরাপদ ও আধুনিক একটি শল্যচিকিৎসা। উপসর্গবিহীন পাথর অনেক সময় শুধু নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে তীব্র ব্যথা বা জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ চিকিৎসায় ভরসা করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।


প্রিন্ট