জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। টালমাটাল হয়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যায় বাংলাদেশেরও। তবে সেই তুলনায় রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বেড়ে আরও কমে যায়। ফলে দেশে তৈরি হয় ডলারসংকট।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের খুলনাজোন প্রধান (ভাইস প্রেসিডেন্ট) আবু সাইদ মো. আবদুল মান্নাফ বলেন, বৈশ্যিক অস্থিরতার কারণে দেশে ডলার সংকট চলছে। আমরা আমদানিকৃত পণ্যের দায় পরিশোধ করতে পারছিনা। যেকারণে নতুন করে এলসি খোলা বন্ধ করা হয়েছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক যশোরের শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল হক জানান, বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে এলসি নেয়া বন্ধ করেছে। এতে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা পণ্য আনতে না পারলে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারা এন্ড কমার্স ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক আনিছুর রহমান বলেন, ডলার না থাকার কারণে আমরা আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছিনা।
যশোরের হোন্ডা মোটরসাইকেলের ডিলার মো. আবু শাহরিয়াদ মিতুল জানান, ডলার সংকটে এলসি বন্ধ থাকায় সংকটে পড়বে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু জানান, মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি করে সারা দেশে সরবরাহ করি। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক যদি এলসি দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখে তাহলে এখাতের ব্যবসায়ীরা ভেঙ্গে পড়বে।
যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজার ব্যবস্থা অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে ক্রেতাদের উপর।