ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচনের তিন বছর পর চেয়ারম্যান এর চেয়ার এ বসলেন দুলু নাসিরনগরে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত এখন রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ ইসলাম পিলখানা হত্যাকাণ্ড হুমকির মুখে বাংলাদেশ, সেনাবাহিনীর প্রধান অপারেশন ডেভিল হান্টে মোংলায় ২ জনকে আটক জামায়াত নেতা আজহার লিভ টু আপিলের অনুমতি পাবেন, আদেশ বুধবার শতাধিক সদস্যের কমিটি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে ছাত্রদের নতুন দল জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫

ডলার সংকটে যশোরের ব্যাংকগুলো 

যশোর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩০৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
যশোরের ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকাররা বলছেন, এলসি করতে না পারার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই সাথে ব্যাংকে খেলাপির হারও বাড়বে।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। টালমাটাল হয়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যায় বাংলাদেশেরও। তবে সেই তুলনায় রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বেড়ে আরও কমে যায়। ফলে দেশে তৈরি হয় ডলারসংকট।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের খুলনাজোন প্রধান (ভাইস প্রেসিডেন্ট) আবু সাইদ মো. আবদুল মান্নাফ বলেন, বৈশ্যিক অস্থিরতার কারণে দেশে ডলার সংকট চলছে। আমরা আমদানিকৃত পণ্যের দায় পরিশোধ করতে পারছিনা। যেকারণে নতুন করে এলসি খোলা বন্ধ করা হয়েছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক যশোরের শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল হক জানান, বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে এলসি নেয়া বন্ধ করেছে। এতে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা পণ্য আনতে না পারলে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারা এন্ড কমার্স ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক আনিছুর রহমান বলেন, ডলার না থাকার কারণে আমরা আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছিনা।
যশোরের হোন্ডা মোটরসাইকেলের ডিলার মো. আবু শাহরিয়াদ মিতুল জানান, ডলার সংকটে এলসি বন্ধ থাকায় সংকটে পড়বে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
 আমদানিকারক রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু জানান, মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি করে সারা দেশে সরবরাহ করি। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক যদি এলসি দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখে তাহলে এখাতের ব্যবসায়ীরা ভেঙ্গে পড়বে।
 যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজার ব্যবস্থা অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে ক্রেতাদের উপর।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকটে যশোরের ব্যাংকগুলো 

আপডেট টাইম : ০৪:২৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
যশোরের ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকাররা বলছেন, এলসি করতে না পারার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই সাথে ব্যাংকে খেলাপির হারও বাড়বে।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। টালমাটাল হয়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যায় বাংলাদেশেরও। তবে সেই তুলনায় রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বেড়ে আরও কমে যায়। ফলে দেশে তৈরি হয় ডলারসংকট।
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের খুলনাজোন প্রধান (ভাইস প্রেসিডেন্ট) আবু সাইদ মো. আবদুল মান্নাফ বলেন, বৈশ্যিক অস্থিরতার কারণে দেশে ডলার সংকট চলছে। আমরা আমদানিকৃত পণ্যের দায় পরিশোধ করতে পারছিনা। যেকারণে নতুন করে এলসি খোলা বন্ধ করা হয়েছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক যশোরের শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল হক জানান, বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে এলসি নেয়া বন্ধ করেছে। এতে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা পণ্য আনতে না পারলে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারা এন্ড কমার্স ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক আনিছুর রহমান বলেন, ডলার না থাকার কারণে আমরা আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছিনা।
যশোরের হোন্ডা মোটরসাইকেলের ডিলার মো. আবু শাহরিয়াদ মিতুল জানান, ডলার সংকটে এলসি বন্ধ থাকায় সংকটে পড়বে আমদানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
 আমদানিকারক রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু জানান, মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি করে সারা দেশে সরবরাহ করি। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংক যদি এলসি দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখে তাহলে এখাতের ব্যবসায়ীরা ভেঙ্গে পড়বে।
 যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারলে বাজার ব্যবস্থা অস্বাভাবিক হয়ে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে ক্রেতাদের উপর।