ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র Logo আশুলিয়ায় যানজট, মাদক ও সন্ত্রাস নিরসনে সুশীল সমাজের আলোচনা সভা Logo মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন Logo চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু Logo ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস Logo ভালবাসার বন্ধনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপহরণ মামলা ছেলের বাবা কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন Logo কালিয়াকৈরে জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল জাল জালিয়াতির অভিযোগ Logo ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানব বন্ধন Logo আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-আল্লামা মামুনুল হক। Logo ভাঙ্গুড়ায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ.মামলা লিতে নারাজ পুলিশ

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৮ ১০.০০০ বার পড়া হয়েছে

পাবনার চাটমোহরে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ১৪ দিন আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাটমোহর থানায় মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। প্রেমিক মো: নাঈম হোসেন (২৫) পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভোর ৪ টার দিকে চাটমোহর থানাধীন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) কে তুলে নিয়ে নাটোরে যায়। পরের দিন ৬ আগস্ট রাত্রে নৌকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীকে নাটোর জেলার কোন এক ক্লাবে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় লম্পট প্রেমিক। এসময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হইলে জৈনক ক্লাবের মেয়েরা তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই ছাত্রীর স্মৃতিশক্তি লোভ পেয়ে যায়। এরপর প্রতিদিন রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এ বিষয়ে ১৭ই আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা চাটমোহর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ১৫৮১। ২২ আগস্ট র‍্যাব -১২ সিরাজগঞ্জ রাত ১০ টার দিকে কড্ডার মোড় থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট মেয়ে সহ মেয়ের বাবা চাটমোহর থানায় মামলা করতে আসলে চাটমোহর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে তাড়াশ থানায় অথবা নাটোর থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী পরিবার উপায় না পেয়ে ওসি মনজুরুল আলমের সাথে দেখা করতে চাইলে তদন্ত ওসি থানা থেকে তাদের বের করে দেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাড়াশ থানায় ও নাটোর থানাতে ঘুড়ে আইনের সহায়তা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাটমোর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার বলেন, মেয়েটাকে চাটমোহর থানার এরিয়া থেকে নিয়ে গেলেও ধর্ষণ হয়েছে তাড়াশ ও নাটোর থানার মধ্যে তাই তাদেরকে ওই থানায় যাবার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল চাটমোহর) আরজুমা আকতার বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয় তবে ওই ছাত্রী থানায় এসেছে তাদের সাথে কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে বাদ পড়ল যুক্তরাষ্ট্র

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ.মামলা লিতে নারাজ পুলিশ

আপডেট সময় ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

পাবনার চাটমোহরে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ১৪ দিন আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার চাটমোহর থানায় মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামে। প্রেমিক মো: নাঈম হোসেন (২৫) পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মৃত তসলিম হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভোর ৪ টার দিকে চাটমোহর থানাধীন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের রায়নগের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) কে তুলে নিয়ে নাটোরে যায়। পরের দিন ৬ আগস্ট রাত্রে নৌকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীকে নাটোর জেলার কোন এক ক্লাবে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় লম্পট প্রেমিক। এসময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হইলে জৈনক ক্লাবের মেয়েরা তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই ছাত্রীর স্মৃতিশক্তি লোভ পেয়ে যায়। এরপর প্রতিদিন রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এ বিষয়ে ১৭ই আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা চাটমোহর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং- ১৫৮১। ২২ আগস্ট র‍্যাব -১২ সিরাজগঞ্জ রাত ১০ টার দিকে কড্ডার মোড় থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট মেয়ে সহ মেয়ের বাবা চাটমোহর থানায় মামলা করতে আসলে চাটমোহর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে তাড়াশ থানায় অথবা নাটোর থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী পরিবার উপায় না পেয়ে ওসি মনজুরুল আলমের সাথে দেখা করতে চাইলে তদন্ত ওসি থানা থেকে তাদের বের করে দেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাড়াশ থানায় ও নাটোর থানাতে ঘুড়ে আইনের সহায়তা না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাটমোর থানার তদন্ত ওসি নয়ন কুমার সরকার বলেন, মেয়েটাকে চাটমোহর থানার এরিয়া থেকে নিয়ে গেলেও ধর্ষণ হয়েছে তাড়াশ ও নাটোর থানার মধ্যে তাই তাদেরকে ওই থানায় যাবার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল চাটমোহর) আরজুমা আকতার বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয় তবে ওই ছাত্রী থানায় এসেছে তাদের সাথে কথা বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট