ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের যোগাযোগের মাইল ফলক, আজ সেতুটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
  • আপডেট টাইম : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৯৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে হাওর অধ্যুষিত জেলাটির যোগাযোগব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাইলফলক।

এই সেতুর ফলে সুনামগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকায় আসতে হলে আর সিলেট ঘুরে নয়, সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে আসা যাবে, এতে রাজধানীর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমেছে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।
সোমবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিসহ ১০০ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগে এসব সেতুর উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘দক্ষিণের দুয়ার’ খুলে গেল।

পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ জেলার মানুষের বিকল্প সড়কের পাশাপাশি দূরত্ব কমেছে ৫৫ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হবে মনে করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীগঞ্জ সেতু নির্মিত হয়েছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি ছিল রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের।
২০১৬ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এম মান্নান।
জগন্নাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দা দিদার কোরশী বলেন, এই সেতুটি হওয়ায় আমাদের যাতায়াতব্যবস্থার বিরাট একটা উন্নয়ন হয়েছে, আগে আমাদের ঢাকা যেতে হলে সিলেট হয়ে যাওয়া লাগত, এই সেতু হওয়ায় এখন সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে যাওয়া যাবে, যার ফলে আমাদের অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। এ ছাড়া আমরা যারা ব্যবসায়ী তাদেরও পণ্য আনা-নেয়া অনেকটা সহজ হবে।
সিলেট বিভাগের এই সেতুটির জন্য যানবাহনের শ্রেণি ও টোল হার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানায়, টোল হারে রিকশা-ভ্যান/রিকশা/বাইসাইকেল/ঠেলাগাড়ি ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, অটোটেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান, ব্যাটারিচালিত ৩/৪ চাকার যেকোনো ধরনের মোটরাইজড যান ১৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ভাড়ায়চালিত সব কার ৪০ টাকা, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ, রেকার, ক্রেন ৬০ টাকা, চালক ছাড়া অন্যান্য ৮ জন এবং অনধিক ১৫ জন যাত্রী বহনকারী যান ৬০ টাকা।
এ ছাড়া চালক ব্যতীত অনধিক ৩০ জন যাত্রী বহনকারী যান ৭৫ টাকা, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ৯০ টাকা, ৩ টন পর্যন্ত পে-লোড ধারণে সক্ষম যানবাহন ১১৫ টাকা, চালক ছাড়া ৩১ অথবা তদূর্ধ্ব আসনবিশিষ্ট মোটরযান ১৩৫ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট বিজিট ট্রাক/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রেইলার ১৫০ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক, কাভার্ড ট্রাক/ভ্যান, কনটেইনারবাহী ট্রাক, অন্যান্য আর্টিকুলে ট্রেড যানবাহন ৩০০ টাকা, কনটেইনার, ভারী যন্ত্রপাতি, ভারী মালামাল/ সরঞ্জাম ৩৭৫ টাকা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের যোগাযোগের মাইল ফলক, আজ সেতুটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে হাওর অধ্যুষিত জেলাটির যোগাযোগব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাইলফলক।

এই সেতুর ফলে সুনামগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকায় আসতে হলে আর সিলেট ঘুরে নয়, সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে আসা যাবে, এতে রাজধানীর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমেছে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।
সোমবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিসহ ১০০ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগে এসব সেতুর উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘দক্ষিণের দুয়ার’ খুলে গেল।

পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ জেলার মানুষের বিকল্প সড়কের পাশাপাশি দূরত্ব কমেছে ৫৫ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হবে মনে করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীগঞ্জ সেতু নির্মিত হয়েছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি ছিল রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের।
২০১৬ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এম মান্নান।
জগন্নাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দা দিদার কোরশী বলেন, এই সেতুটি হওয়ায় আমাদের যাতায়াতব্যবস্থার বিরাট একটা উন্নয়ন হয়েছে, আগে আমাদের ঢাকা যেতে হলে সিলেট হয়ে যাওয়া লাগত, এই সেতু হওয়ায় এখন সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে যাওয়া যাবে, যার ফলে আমাদের অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। এ ছাড়া আমরা যারা ব্যবসায়ী তাদেরও পণ্য আনা-নেয়া অনেকটা সহজ হবে।
সিলেট বিভাগের এই সেতুটির জন্য যানবাহনের শ্রেণি ও টোল হার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানায়, টোল হারে রিকশা-ভ্যান/রিকশা/বাইসাইকেল/ঠেলাগাড়ি ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, অটোটেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান, ব্যাটারিচালিত ৩/৪ চাকার যেকোনো ধরনের মোটরাইজড যান ১৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ভাড়ায়চালিত সব কার ৪০ টাকা, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ, রেকার, ক্রেন ৬০ টাকা, চালক ছাড়া অন্যান্য ৮ জন এবং অনধিক ১৫ জন যাত্রী বহনকারী যান ৬০ টাকা।
এ ছাড়া চালক ব্যতীত অনধিক ৩০ জন যাত্রী বহনকারী যান ৭৫ টাকা, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ৯০ টাকা, ৩ টন পর্যন্ত পে-লোড ধারণে সক্ষম যানবাহন ১১৫ টাকা, চালক ছাড়া ৩১ অথবা তদূর্ধ্ব আসনবিশিষ্ট মোটরযান ১৩৫ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট বিজিট ট্রাক/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রেইলার ১৫০ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক, কাভার্ড ট্রাক/ভ্যান, কনটেইনারবাহী ট্রাক, অন্যান্য আর্টিকুলে ট্রেড যানবাহন ৩০০ টাকা, কনটেইনার, ভারী যন্ত্রপাতি, ভারী মালামাল/ সরঞ্জাম ৩৭৫ টাকা।