ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার

হেঁচকি নিয়ে প্রচলিত যত কথা

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৫০ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাধারণত হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মতো হয় যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। তখন ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংস পেশীর স্তর, যেটিকে ডায়াফ্রাম বলে, হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়। বিভিন্ন কারণে হেঁচকি আস্তে পারে যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, অতি দ্রুত খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয়, ঝাল খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ, উত্তেজিত হওয়া, অ্যালকোহল, এমনকি আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তনের ফলে।

Nogod

হেঁচকি তাড়ানোর নানা কৌশল আমাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেগুলো কি আদৌ কাজ করে!

কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো-

এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করলে, এক গ্লাস কুসুম গরম পানি এক নিঃশ্বাসেই পান করলে, মাঝারি আকারের বরফের টুকরো খেলে, আবার গ্লাসের উপরের কোনো ভেজা তাওয়াল অথবা গামছা দিয়ে তা থেকে পানি পান করলে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড গড়গড়া করলে, এক চামচ চিনি চিবিয়ে খেলে, এক টুকরো লেবু লবণ দিয়ে খেলে, এছাড়াও এক ফোটা সিরকা মুখে দিলে হেঁচকি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

এরকম আরও অনেক কৌশল রয়েছে। তবে তাদের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।

এমন অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে যা অনেকেই অনুসরণ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কিছু উপায় হলো-

নাক এবং চোখ বন্ধ করে এক গ্লাস পানি পান করলে।

ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলে। কমপক্ষে ৫ বার নিঃশ্বাস ত্যাগ ও গ্রহণ করতে হবে।

একবার বড় করে শ্বাস নিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখতে হবে, এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন ততক্ষণ এমন করতে হবে।

* একটি চেয়ারে হেলান দিয়ে থাকতে হবে। হাঁটু দুইটিকে বুকের কাছে আনতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট থাকতে হবে।

* চেয়ারে বসে অথবা সমতল কোনো জায়গায় শুয়ে বুকের ওপর আলতো করে চাপ দিতে হবে।

মাঝে মাঝে হেঁচকি এসে কম সময়ের মাঝে নিজে থেকেই থেমে যায় আবার অনেক সময় ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন পরে। হেঁচকি তাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উপায় রয়েছে। ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে অনেক। তবে হেঁচকি যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আজমিরীগঞ্জে জনৈক এক নারীকে ইভটিজিং, মোবাইল কোর্টের জেল ও জরিমানা

হেঁচকি নিয়ে প্রচলিত যত কথা

আপডেট টাইম : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাধারণত হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মতো হয় যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। তখন ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংস পেশীর স্তর, যেটিকে ডায়াফ্রাম বলে, হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়। বিভিন্ন কারণে হেঁচকি আস্তে পারে যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, অতি দ্রুত খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয়, ঝাল খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ, উত্তেজিত হওয়া, অ্যালকোহল, এমনকি আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তনের ফলে।

Nogod

হেঁচকি তাড়ানোর নানা কৌশল আমাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেগুলো কি আদৌ কাজ করে!

কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো-

এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করলে, এক গ্লাস কুসুম গরম পানি এক নিঃশ্বাসেই পান করলে, মাঝারি আকারের বরফের টুকরো খেলে, আবার গ্লাসের উপরের কোনো ভেজা তাওয়াল অথবা গামছা দিয়ে তা থেকে পানি পান করলে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড গড়গড়া করলে, এক চামচ চিনি চিবিয়ে খেলে, এক টুকরো লেবু লবণ দিয়ে খেলে, এছাড়াও এক ফোটা সিরকা মুখে দিলে হেঁচকি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

এরকম আরও অনেক কৌশল রয়েছে। তবে তাদের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।

এমন অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে যা অনেকেই অনুসরণ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কিছু উপায় হলো-

নাক এবং চোখ বন্ধ করে এক গ্লাস পানি পান করলে।

ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলে। কমপক্ষে ৫ বার নিঃশ্বাস ত্যাগ ও গ্রহণ করতে হবে।

একবার বড় করে শ্বাস নিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখতে হবে, এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন ততক্ষণ এমন করতে হবে।

* একটি চেয়ারে হেলান দিয়ে থাকতে হবে। হাঁটু দুইটিকে বুকের কাছে আনতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট থাকতে হবে।

* চেয়ারে বসে অথবা সমতল কোনো জায়গায় শুয়ে বুকের ওপর আলতো করে চাপ দিতে হবে।

মাঝে মাঝে হেঁচকি এসে কম সময়ের মাঝে নিজে থেকেই থেমে যায় আবার অনেক সময় ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন পরে। হেঁচকি তাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উপায় রয়েছে। ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে অনেক। তবে হেঁচকি যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।