ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতপন্থী আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবেনা মোংলায় জামায়াত নেতা সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদ খানের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ কোরআন-হাদীসের আলোকে শবে মেরাজ এবং মেরাজের ঘটনা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে// পূর্বের বাস্তবতা থেকে আমরা সতর্ক আছি. ঠাকুরগাঁওয়ে ইসি সানাউল্লাহ দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন: গভর্নর সাভারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু মক্কা-মদিনায় সম্পত্তি কিনতে পারবেন বিদেশিরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা লন্ডনে যেভাবে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার চট্টগ্রামে গ্রেফতার সেই ১২ ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ ৫৯০ কোটি টাকা লুট করার প্রস্তুতি ছিল

হেঁচকি নিয়ে প্রচলিত যত কথা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাধারণত হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মতো হয় যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। তখন ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংস পেশীর স্তর, যেটিকে ডায়াফ্রাম বলে, হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়। বিভিন্ন কারণে হেঁচকি আস্তে পারে যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, অতি দ্রুত খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয়, ঝাল খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ, উত্তেজিত হওয়া, অ্যালকোহল, এমনকি আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তনের ফলে।

Nogod

হেঁচকি তাড়ানোর নানা কৌশল আমাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেগুলো কি আদৌ কাজ করে!

কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো-

এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করলে, এক গ্লাস কুসুম গরম পানি এক নিঃশ্বাসেই পান করলে, মাঝারি আকারের বরফের টুকরো খেলে, আবার গ্লাসের উপরের কোনো ভেজা তাওয়াল অথবা গামছা দিয়ে তা থেকে পানি পান করলে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড গড়গড়া করলে, এক চামচ চিনি চিবিয়ে খেলে, এক টুকরো লেবু লবণ দিয়ে খেলে, এছাড়াও এক ফোটা সিরকা মুখে দিলে হেঁচকি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

এরকম আরও অনেক কৌশল রয়েছে। তবে তাদের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।

এমন অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে যা অনেকেই অনুসরণ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কিছু উপায় হলো-

নাক এবং চোখ বন্ধ করে এক গ্লাস পানি পান করলে।

ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলে। কমপক্ষে ৫ বার নিঃশ্বাস ত্যাগ ও গ্রহণ করতে হবে।

একবার বড় করে শ্বাস নিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখতে হবে, এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন ততক্ষণ এমন করতে হবে।

* একটি চেয়ারে হেলান দিয়ে থাকতে হবে। হাঁটু দুইটিকে বুকের কাছে আনতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট থাকতে হবে।

* চেয়ারে বসে অথবা সমতল কোনো জায়গায় শুয়ে বুকের ওপর আলতো করে চাপ দিতে হবে।

মাঝে মাঝে হেঁচকি এসে কম সময়ের মাঝে নিজে থেকেই থেমে যায় আবার অনেক সময় ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন পরে। হেঁচকি তাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উপায় রয়েছে। ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে অনেক। তবে হেঁচকি যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হেঁচকি নিয়ে প্রচলিত যত কথা

আপডেট টাইম : ১২:২০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাধারণত হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মতো হয় যার ফলে শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। তখন ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংস পেশীর স্তর, যেটিকে ডায়াফ্রাম বলে, হঠাৎ সংকোচনের ফলেই হেঁচকি তৈরি হয়। বিভিন্ন কারণে হেঁচকি আস্তে পারে যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, অতি দ্রুত খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয়, ঝাল খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ, উত্তেজিত হওয়া, অ্যালকোহল, এমনকি আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তনের ফলে।

Nogod

হেঁচকি তাড়ানোর নানা কৌশল আমাদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেগুলো কি আদৌ কাজ করে!

কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো-

এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ধীরে ধীরে পান করলে, এক গ্লাস কুসুম গরম পানি এক নিঃশ্বাসেই পান করলে, মাঝারি আকারের বরফের টুকরো খেলে, আবার গ্লাসের উপরের কোনো ভেজা তাওয়াল অথবা গামছা দিয়ে তা থেকে পানি পান করলে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড গড়গড়া করলে, এক চামচ চিনি চিবিয়ে খেলে, এক টুকরো লেবু লবণ দিয়ে খেলে, এছাড়াও এক ফোটা সিরকা মুখে দিলে হেঁচকি থেকে আরাম পাওয়া যায়।

এরকম আরও অনেক কৌশল রয়েছে। তবে তাদের বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।

এমন অনেক কার্যকরী উপায় রয়েছে যা অনেকেই অনুসরণ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কিছু উপায় হলো-

নাক এবং চোখ বন্ধ করে এক গ্লাস পানি পান করলে।

ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলে। কমপক্ষে ৫ বার নিঃশ্বাস ত্যাগ ও গ্রহণ করতে হবে।

একবার বড় করে শ্বাস নিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখতে হবে, এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। যতক্ষণ না আরাম পাচ্ছেন ততক্ষণ এমন করতে হবে।

* একটি চেয়ারে হেলান দিয়ে থাকতে হবে। হাঁটু দুইটিকে বুকের কাছে আনতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মিনিট থাকতে হবে।

* চেয়ারে বসে অথবা সমতল কোনো জায়গায় শুয়ে বুকের ওপর আলতো করে চাপ দিতে হবে।

মাঝে মাঝে হেঁচকি এসে কম সময়ের মাঝে নিজে থেকেই থেমে যায় আবার অনেক সময় ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন পরে। হেঁচকি তাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উপায় রয়েছে। ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে অনেক। তবে হেঁচকি যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।