ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

বিরামপুরে পাটের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • / ২০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পাট চাষে নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছিলেন দিনাজপুর বিরামপুরের কৃষকেরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলায় এবার পাটের ভালো ফলনে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এর চাষ বেড়েছে। এ উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকার মামুদপুর বালুপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাটচাষিরা খেতের আগাছা এবং ঘন গাছ বাছাইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাটগাছ রোগমুক্ত রয়েছে। ফলে চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্রের তাপপ্রবাহের শেষ দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। এ সময় শেড দিয়ে পাটবীজ রোপণ করেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে পাটগাছের বয়স দুই মাস। এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটখেতে সবুজের সমারোহ।

পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার পাটচাষি মনসুর আলী বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। খেতে এবার পোকার আক্রমণ নেই। ঘন পাটগাছ বাছাই করে তুলে ফেলা হচ্ছে। পাটের দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার চাষিরা এবার ব্যাপক হারে পাট রোপণ করেছেন।

হাবিবপুর গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার দৃষ্টি দিলে এ বছর পাটের দাম আরও ভালো পাওয়া যাবে। অন্য আবাদের চেয়ে পাট চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষক এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক ভালোভাবে পাট ঘরে তুলতে পারবেন। তবে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ খরচ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চাষিরা ভালো ফলন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেচ দেওয়া, রোগ নিয়ন্ত্রণ, পরিচর্যা বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরামপুরে পাটের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

আপডেট টাইম : ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পাট চাষে নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছিলেন দিনাজপুর বিরামপুরের কৃষকেরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলায় এবার পাটের ভালো ফলনে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এর চাষ বেড়েছে। এ উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকার মামুদপুর বালুপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাটচাষিরা খেতের আগাছা এবং ঘন গাছ বাছাইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাটগাছ রোগমুক্ত রয়েছে। ফলে চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্রের তাপপ্রবাহের শেষ দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। এ সময় শেড দিয়ে পাটবীজ রোপণ করেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে পাটগাছের বয়স দুই মাস। এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটখেতে সবুজের সমারোহ।

পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার পাটচাষি মনসুর আলী বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। খেতে এবার পোকার আক্রমণ নেই। ঘন পাটগাছ বাছাই করে তুলে ফেলা হচ্ছে। পাটের দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার চাষিরা এবার ব্যাপক হারে পাট রোপণ করেছেন।

হাবিবপুর গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার দৃষ্টি দিলে এ বছর পাটের দাম আরও ভালো পাওয়া যাবে। অন্য আবাদের চেয়ে পাট চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষক এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক ভালোভাবে পাট ঘরে তুলতে পারবেন। তবে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ খরচ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চাষিরা ভালো ফলন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেচ দেওয়া, রোগ নিয়ন্ত্রণ, পরিচর্যা বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।