ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

বিরামপুরে পাটের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পাট চাষে নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছিলেন দিনাজপুর বিরামপুরের কৃষকেরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলায় এবার পাটের ভালো ফলনে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এর চাষ বেড়েছে। এ উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকার মামুদপুর বালুপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাটচাষিরা খেতের আগাছা এবং ঘন গাছ বাছাইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাটগাছ রোগমুক্ত রয়েছে। ফলে চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্রের তাপপ্রবাহের শেষ দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। এ সময় শেড দিয়ে পাটবীজ রোপণ করেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে পাটগাছের বয়স দুই মাস। এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটখেতে সবুজের সমারোহ।

পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার পাটচাষি মনসুর আলী বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। খেতে এবার পোকার আক্রমণ নেই। ঘন পাটগাছ বাছাই করে তুলে ফেলা হচ্ছে। পাটের দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার চাষিরা এবার ব্যাপক হারে পাট রোপণ করেছেন।

হাবিবপুর গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার দৃষ্টি দিলে এ বছর পাটের দাম আরও ভালো পাওয়া যাবে। অন্য আবাদের চেয়ে পাট চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষক এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক ভালোভাবে পাট ঘরে তুলতে পারবেন। তবে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ খরচ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চাষিরা ভালো ফলন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেচ দেওয়া, রোগ নিয়ন্ত্রণ, পরিচর্যা বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

বিরামপুরে পাটের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি

আপডেট টাইম : ০৩:০৭:২৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পাট চাষে নিয়ে আগ্রহ হারিয়েছিলেন দিনাজপুর বিরামপুরের কৃষকেরা। কিন্তু চলতি মৌসুমে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। উপজেলায় এবার পাটের ভালো ফলনে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর চেয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এর চাষ বেড়েছে। এ উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকার মামুদপুর বালুপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পাটচাষিরা খেতের আগাছা এবং ঘন গাছ বাছাইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাটগাছ রোগমুক্ত রয়েছে। ফলে চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৈত্রের তাপপ্রবাহের শেষ দিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। এ সময় শেড দিয়ে পাটবীজ রোপণ করেছিলেন তাঁরা। বর্তমানে পাটগাছের বয়স দুই মাস। এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটখেতে সবুজের সমারোহ।

পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার পাটচাষি মনসুর আলী বলেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। খেতে এবার পোকার আক্রমণ নেই। ঘন পাটগাছ বাছাই করে তুলে ফেলা হচ্ছে। পাটের দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার চাষিরা এবার ব্যাপক হারে পাট রোপণ করেছেন।

হাবিবপুর গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকার দৃষ্টি দিলে এ বছর পাটের দাম আরও ভালো পাওয়া যাবে। অন্য আবাদের চেয়ে পাট চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষক এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক ভালোভাবে পাট ঘরে তুলতে পারবেন। তবে সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ খরচ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চাষিরা ভালো ফলন পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেচ দেওয়া, রোগ নিয়ন্ত্রণ, পরিচর্যা বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।