ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি

রায়পুরে দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হাজারো জেলে

জহির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ১৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের কোছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার মৎস্যজীবী। মহাজনদের খুশিমত বেধে দেওয়া দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা।দিন রাত হাড় খাটানির মাধ্যমে আহরিত মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় জেলে পরিবার গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চরবংশী ,উত্তর চরবংশী, চর আবাবিল সহ আশেপাশের প্রায় দশ হাজার জেলে পরিবার বংশ পরস্পরায় নদীতে মাছ শীকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরনই তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ নদীতে মাছ কম থাকায় জেলেদের জালে চাহিদানুরূপ হারে মাছ শীকার না হওয়ায় চরম হতাশা হয়ে পড়ছে জেলেরা।

আর এতে তাদের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত,জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরিত সকল মাছ বিক্রয়ের শর্তে টাকা ধার নেয়। নদীতে মাছের অকালত্বে মাহাজনদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অধিকংশ জেলে বছরের পর বছর জিম্মি থেকে যায়। ফলে বিভিন্ন সময় আহরিত মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য করে মহাজনারা।

তাছাড়া নদীতে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের নৌ-দস্যূদের কবলে পড়ে অনেক সময় চাঁদা প্রদান সহ সর্বস্ব খোঁড়াতে হয়। অনেক সময় দস্যূদের হাতে জীবন পর্যন্ত চলে যায়। হাজীমার মৎস ঘাটে মাছ বিক্রয় করতে আসা জামাল, সোহেল সহ কয়েক জন জানান, ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়। তার উপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে পানির দরে মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হাজারো জেলে

আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের কোছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার মৎস্যজীবী। মহাজনদের খুশিমত বেধে দেওয়া দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা।দিন রাত হাড় খাটানির মাধ্যমে আহরিত মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় জেলে পরিবার গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চরবংশী ,উত্তর চরবংশী, চর আবাবিল সহ আশেপাশের প্রায় দশ হাজার জেলে পরিবার বংশ পরস্পরায় নদীতে মাছ শীকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরনই তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ নদীতে মাছ কম থাকায় জেলেদের জালে চাহিদানুরূপ হারে মাছ শীকার না হওয়ায় চরম হতাশা হয়ে পড়ছে জেলেরা।

আর এতে তাদের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত,জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরিত সকল মাছ বিক্রয়ের শর্তে টাকা ধার নেয়। নদীতে মাছের অকালত্বে মাহাজনদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অধিকংশ জেলে বছরের পর বছর জিম্মি থেকে যায়। ফলে বিভিন্ন সময় আহরিত মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য করে মহাজনারা।

তাছাড়া নদীতে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের নৌ-দস্যূদের কবলে পড়ে অনেক সময় চাঁদা প্রদান সহ সর্বস্ব খোঁড়াতে হয়। অনেক সময় দস্যূদের হাতে জীবন পর্যন্ত চলে যায়। হাজীমার মৎস ঘাটে মাছ বিক্রয় করতে আসা জামাল, সোহেল সহ কয়েক জন জানান, ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়। তার উপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে পানির দরে মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা।