ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

রায়পুরে দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হাজারো জেলে

জহির হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের কোছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার মৎস্যজীবী। মহাজনদের খুশিমত বেধে দেওয়া দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা।দিন রাত হাড় খাটানির মাধ্যমে আহরিত মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় জেলে পরিবার গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চরবংশী ,উত্তর চরবংশী, চর আবাবিল সহ আশেপাশের প্রায় দশ হাজার জেলে পরিবার বংশ পরস্পরায় নদীতে মাছ শীকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরনই তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ নদীতে মাছ কম থাকায় জেলেদের জালে চাহিদানুরূপ হারে মাছ শীকার না হওয়ায় চরম হতাশা হয়ে পড়ছে জেলেরা।

আর এতে তাদের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত,জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরিত সকল মাছ বিক্রয়ের শর্তে টাকা ধার নেয়। নদীতে মাছের অকালত্বে মাহাজনদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অধিকংশ জেলে বছরের পর বছর জিম্মি থেকে যায়। ফলে বিভিন্ন সময় আহরিত মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য করে মহাজনারা।

তাছাড়া নদীতে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের নৌ-দস্যূদের কবলে পড়ে অনেক সময় চাঁদা প্রদান সহ সর্বস্ব খোঁড়াতে হয়। অনেক সময় দস্যূদের হাতে জীবন পর্যন্ত চলে যায়। হাজীমার মৎস ঘাটে মাছ বিক্রয় করতে আসা জামাল, সোহেল সহ কয়েক জন জানান, ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়। তার উপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে পানির দরে মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হাজারো জেলে

আপডেট টাইম : ০৯:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের কোছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার মৎস্যজীবী। মহাজনদের খুশিমত বেধে দেওয়া দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা।দিন রাত হাড় খাটানির মাধ্যমে আহরিত মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় জেলে পরিবার গুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চরবংশী ,উত্তর চরবংশী, চর আবাবিল সহ আশেপাশের প্রায় দশ হাজার জেলে পরিবার বংশ পরস্পরায় নদীতে মাছ শীকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরনই তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ নদীতে মাছ কম থাকায় জেলেদের জালে চাহিদানুরূপ হারে মাছ শীকার না হওয়ায় চরম হতাশা হয়ে পড়ছে জেলেরা।

আর এতে তাদের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত,জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরিত সকল মাছ বিক্রয়ের শর্তে টাকা ধার নেয়। নদীতে মাছের অকালত্বে মাহাজনদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অধিকংশ জেলে বছরের পর বছর জিম্মি থেকে যায়। ফলে বিভিন্ন সময় আহরিত মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য করে মহাজনারা।

তাছাড়া নদীতে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের নৌ-দস্যূদের কবলে পড়ে অনেক সময় চাঁদা প্রদান সহ সর্বস্ব খোঁড়াতে হয়। অনেক সময় দস্যূদের হাতে জীবন পর্যন্ত চলে যায়। হাজীমার মৎস ঘাটে মাছ বিক্রয় করতে আসা জামাল, সোহেল সহ কয়েক জন জানান, ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়। তার উপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে পানির দরে মাছ বিক্রয় করতে বাধ্য হয় তারা।