রায়পুর থেকে মজুচৌধুরীর হাট নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই, ভিটেমাটি রক্ষার দাবী
- আপডেট টাইম : ০৪:১৬:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
- / ১৮৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
শিমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চর আবাবিল এবং উত্তর চর বংশী, চররমনীমোহন এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী ভিটেমাটি। ভাঙন প্রতিরোধে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন উপজেলার হাজিমারা এলাকা থেকে চাঁদপুর জেলার হাইমচর সীমানা পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ করার জন্য ভাঙন এলাকাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাঙন রোধে তিনি স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন।
উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের সাজু মোল্লার ঘাটের মাঝি আঃরহমান বলেন, ড্রেজারে নদীর পাঁড় বিলীন হয় খরায়, আর বর্ষায় রাস্তাঘাট, ভিটেমাটি বিলীন হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও নিজেদের সহায় সম্বল হারাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
উত্তর চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন চেয়ারম্যান বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে মতিরহাট পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও রায়পুর উপজেলা থেকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার সীমানা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে প্রতিনিধি নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শত শত একর জমি ও জনপথ।
এসব অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও নদী ভাঙন রোধে সরকারি প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য। চলতি বছরের (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্প্রিডবোর্টে করে ভাঙনকবলিত নদীর তীর পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, ভাঙ্গন রোধে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা অপরিসীম। আমাদের বরাদ্দ খুবই অল্প। যা বাজেট আসে তা দিয়ে কাজ চালিয়ে ভাঙ্গন অস্থায়ী ভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করি।
নদী ভাঙ্গনরোধে এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, অচিরেই এই অঞ্চলের নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতোমধ্যেই স্থায়ী বাঁধ চেয়ে ডিও দেয়া হয়েছে।