ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে জরুরী বিজ্ঞপ্তি

নাসিরনগরে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে সাংবাদিক ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৫:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ২১১ ০.০০০ বার পাঠক

সুমন গোপ নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নাসিরনগর উপজেলার সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারকে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা গেছে গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ রোজ মঙ্গলবার বেলা অনুমান আড়াই ঘটিকার সময় লঙ্গন নদীর পাড় আশুরাইল পশ্চিম পাড়ের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মোঃ সারাজ মিয়ার কাটা ধান বাড়িতে নিয়ে দেয়ার জন্য শ্রীঘর গ্রামের চাচুয়ার পাড়ের তাজুল ইসলামের ছেলে জুনাইদ মিয়ার সাথে ভাড়া করে।জুনাইদ প্রতি ট্রাকের ভাড়া বাবদ ৬ শত টাকা আর সারাজ মিয়া ৫ শত টাকা করে দিবে নদীর পাড় থেকে সারাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে দেয়ার কথা বলে দরকষাকষির এক পর্যায়ে দু জনেন মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হলে পাশে তাকা আশুরাইল গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া দৌড়ে এসে সারাজ মিয়ার পক্ষ নেয়।এই নিয়ে ৩ জনের মাঝের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই নিয়ে নদীর পাড়ে থাকা আশুরাইল উভয় গ্রামের লোকজনের মাঝে সংর্ঘষ বাধে। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যপী সংর্ঘষে দুই গ্রামের প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়।

নদীর পাড়ে দুই গ্রামের সংর্ঘষ চলাকালে সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান নাসিরনগর সদরে থানার সামনে রাজিব কম্পিউারে বসে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপলক্ষে গরীবদের মাঝে ঘর বিতরণের সংবাদ লিখায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় মোবাইলে দুইগ্রামের লোকজনের মাঝে ঝগড়ার খবর আসে।সাংবাদিক আব্দুল হান্নান সাথে সাথে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার বিষয়টি নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারকে জানালে তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে তার নিজের মোবাইল থেকে ঝগড়ার বিষয়ে প্রশাসনকে দেখানোর জন্য লাইভ দেন।

সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শ্রীঘর গ্রামের জুনাঈদের চাচা মৃত সানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ (৪৫)তার গ্রামের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিঃমিঃ দুর থেকে প্রচন্ড গরমের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি করার জন্য ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই হার্টএ্যাটাক করে মৃত্যু বরণ করেন।।পরে নায়েব উল্লাকে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।খবর পেয়ে সরাইল নাসিরনগর,আশুগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় থানার ওসি,সার্কেল,ডাক্তার মিলে সাংবাদিক আব্দুল হান্নানকে সাথে নিয়ে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং অডিও ভিডিও ধারন করেন।নিহত নায়েবুল্লার শরীরের কোথাও কোনরূপ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নায়েবুল্লার নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আশিক মর্তুজা সীমান্ত বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে নায়েবুল্লাহ হার্টএটাকে মারা গেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ঘটনার কিছু দিন পূর্বেও সে হার্টএ্যাটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোন এক হাপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসে।প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরিক্ষা ও ময়না তদন্তের জন্য লাশ ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান এ ডাক্তার আশিক মর্জুজা সীমান্ত।
পরে ওই ঘটনায় ৪৯ জন অজ্ঞাত নামা আরো বেশ কয়েক জনকে আসামী করে নিহত নায়েববুল্লার ভাই সাজু মিয়া বাদী হয়ে নাসিরনগর থানার মিথ্যা হত্যা মামলা নং ১৯ দায়ের করে।ওই মামলায় সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে ৫ নান্বার আসামী করা হয়েছে।সাংবাদিক হান্নান ছাড়াও তার পরিবারের বড় ভাই মোঃ ফরিদ মিয়াকে ৬ নাম্বার আসামী সহ তার ছোট ভাই সাফু মিয়াকেও আসামী করা হয়েছে। জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন,হান্নান ভাই আমাদের শত্রু নয় বন্ধু। ঘটনার সময়ে সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান ভাই আমাদের সাথেই ছিলেন।এ ঘটনায় তিনি আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন।হান্নান ভাই খুবই ভাল মানুষ।হয়তো গোষ্টিগত দ্বন্দ্বের কারনে তাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া

নাসিরনগরে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে সাংবাদিক ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী

আপডেট টাইম : ০২:৩৫:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

সুমন গোপ নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নাসিরনগর উপজেলার সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারকে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা গেছে গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ রোজ মঙ্গলবার বেলা অনুমান আড়াই ঘটিকার সময় লঙ্গন নদীর পাড় আশুরাইল পশ্চিম পাড়ের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মোঃ সারাজ মিয়ার কাটা ধান বাড়িতে নিয়ে দেয়ার জন্য শ্রীঘর গ্রামের চাচুয়ার পাড়ের তাজুল ইসলামের ছেলে জুনাইদ মিয়ার সাথে ভাড়া করে।জুনাইদ প্রতি ট্রাকের ভাড়া বাবদ ৬ শত টাকা আর সারাজ মিয়া ৫ শত টাকা করে দিবে নদীর পাড় থেকে সারাজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে দেয়ার কথা বলে দরকষাকষির এক পর্যায়ে দু জনেন মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হলে পাশে তাকা আশুরাইল গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া দৌড়ে এসে সারাজ মিয়ার পক্ষ নেয়।এই নিয়ে ৩ জনের মাঝের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই নিয়ে নদীর পাড়ে থাকা আশুরাইল উভয় গ্রামের লোকজনের মাঝে সংর্ঘষ বাধে। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যপী সংর্ঘষে দুই গ্রামের প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়।

নদীর পাড়ে দুই গ্রামের সংর্ঘষ চলাকালে সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান নাসিরনগর সদরে থানার সামনে রাজিব কম্পিউারে বসে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপলক্ষে গরীবদের মাঝে ঘর বিতরণের সংবাদ লিখায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় মোবাইলে দুইগ্রামের লোকজনের মাঝে ঝগড়ার খবর আসে।সাংবাদিক আব্দুল হান্নান সাথে সাথে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার বিষয়টি নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারকে জানালে তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে তার নিজের মোবাইল থেকে ঝগড়ার বিষয়ে প্রশাসনকে দেখানোর জন্য লাইভ দেন।

সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শ্রীঘর গ্রামের জুনাঈদের চাচা মৃত সানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ (৪৫)তার গ্রামের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিঃমিঃ দুর থেকে প্রচন্ড গরমের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারি করার জন্য ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই হার্টএ্যাটাক করে মৃত্যু বরণ করেন।।পরে নায়েব উল্লাকে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।খবর পেয়ে সরাইল নাসিরনগর,আশুগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এ সময় থানার ওসি,সার্কেল,ডাক্তার মিলে সাংবাদিক আব্দুল হান্নানকে সাথে নিয়ে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং অডিও ভিডিও ধারন করেন।নিহত নায়েবুল্লার শরীরের কোথাও কোনরূপ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নায়েবুল্লার নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আশিক মর্তুজা সীমান্ত বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে নায়েবুল্লাহ হার্টএটাকে মারা গেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ঘটনার কিছু দিন পূর্বেও সে হার্টএ্যাটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোন এক হাপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসে।প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরিক্ষা ও ময়না তদন্তের জন্য লাশ ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান এ ডাক্তার আশিক মর্জুজা সীমান্ত।
পরে ওই ঘটনায় ৪৯ জন অজ্ঞাত নামা আরো বেশ কয়েক জনকে আসামী করে নিহত নায়েববুল্লার ভাই সাজু মিয়া বাদী হয়ে নাসিরনগর থানার মিথ্যা হত্যা মামলা নং ১৯ দায়ের করে।ওই মামলায় সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে ৫ নান্বার আসামী করা হয়েছে।সাংবাদিক হান্নান ছাড়াও তার পরিবারের বড় ভাই মোঃ ফরিদ মিয়াকে ৬ নাম্বার আসামী সহ তার ছোট ভাই সাফু মিয়াকেও আসামী করা হয়েছে। জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন,হান্নান ভাই আমাদের শত্রু নয় বন্ধু। ঘটনার সময়ে সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান ভাই আমাদের সাথেই ছিলেন।এ ঘটনায় তিনি আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন।হান্নান ভাই খুবই ভাল মানুষ।হয়তো গোষ্টিগত দ্বন্দ্বের কারনে তাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।