ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
তদন্তে গিয়ে বিএনপি নেতার মারধরের শিকার পুলিশ ওসি পরিচয়ে হিন্দু পিতা পুত্রকে অপহরণ,পরে চাঁদা দাবীর অভিযোগে দিনাজপুরে ছাত্রদল নেতা আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবির অভিযানে ৫২,৮২,৯৫০/-টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল জব্দ শিগগিরই রোডম্যাপ, দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান, সংস্কারের দাবি নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট চায় না বিএনপি মাসুদ মোল্লার টিস্টল ও বেকারি তে হামলা ভাংচুরে জড়িত মোস্তাফিজুর রহমান কালু ও রেনু খানম ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান জনশক্তিদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর জমায়াতের জেলা আমীর মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার মতবিনিময় ও প্রীতি সমাবেশ পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন চলছে, জানালেন ট্রাম্প উত্তরায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ অনুসারী মাসুমের ডিগবাজি বিএনপি সেজে নিজেদের কুকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করছে

নামিদামি ব্যানারের পরিচয়ে দিয়ে মনে হয় সাংবাদিক হওয়া যায়না। প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২০:১২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / ২২০ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ শহিদুল ইসলাম

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রাম।।

নামিদামি ব্যানারের পরিচয়ে দিয়ে আমার মনে হয় সাংবাদিক হওয়া যায়না। প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন হয়।

কোন এক সংবাদপত্রের পরিচয় দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন, তবে প্রশ্ন কর্তাদের উচিত সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার সম্পাদক অথবা ব্যুরোচীফ বরাবরে ওই ব্যক্তির মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পরিচয় জানতে চাওয়া। আশেপাশের যারা বিভিন্ন ব্যানার এ কাজ করেন তারাতো আর সাংবাদিকের লাইসেন্স প্রদান করেন না। তারা ওই অপরিচিত মিডিয়াকর্মী কে চিনতে হবে এমন বাধ্যতামূলক কোন বিষয় নয়। তাদের মধ্যে কিছু কিছু লোকজনের অতি উৎসাহী ভাব দেখে মনে হয়। সাংবাদিকের লাইসেন্স যেন তারাই প্রদান করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই এখানে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। কারো পরিচয় না জেনে তার সম্পর্কে মন্তব্য জুড়ে দেয়া সেটাও এক ধরনের অপরাধ । এসব কারণে প্রকৃত

সাংবাদিকতা আজ লাঞ্চিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারোর বা কাহারো আচরণে মনে হয় এটা যেন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত। এটা তাদের বাপ দাদার জমিদারি। অন্য কেউ এ মর্যাদায় আসীন হতে পারবেন না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় গুলো থেকে বের হওয়া অত্যন্ত জরুরী। একজন সাংবাদিকের আচরণে কথিত শব্দটি বের হওয়া উচিত নয় সহজে। কারণ যাকে কথিত শব্দ দিয়ে উল্লেখ করা হচ্ছে সেটি মূলত ডিএফপি তালিকা ভুক্তি সরকারী রেজিস্টার্ড একটি পত্রিকা।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে সে নিজে কিভাবে নিজেকে সংবাদিক পরিচয় দেয়? যার মধ্যে নূন্যতম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকেনা? দশজন মিলে জুটি বেধে গেলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। বেশ কিছু মিডিয়ার মাঠ কর্মীদের মধ্যে এমন কিছু ভাব পরিলক্ষিত হয়। আশা করব সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার দায়িত্বশীলরা তাদের মাঠকর্মীদের ভাষাগত আচরণগত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ দিবেন। যেন

তাদের আচরণে অন্য কোন মিডিয়ার কর্মীদের নিয়ে ট্রল করার সুযোগ না থাকে। কারন আপনাদের সাথে কিছু কিছু মিডিয়ার সাথে তফাৎ হচ্ছে অল্প প্রচার এবং অধিক প্রচার। তাছাড়া আপনাদেরকে ডাবল রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়নি। কাজেই একটি সময় গিয়ে অন্যান্য তালিকাভুক্ত পত্রিকাগুলো ব্যাপক প্রচার সৃষ্টি হতে পারে ধীরে ধীরে। তাই সতর্কতার সহিত অন্যদের সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত ও বাধ্যতামূলক।

কারণ এতে আপনার অর্জিত শিক্ষার পরিচয় আপনি নিজেই দিয়ে দিচ্ছেন। ডিজিটাল এর জগতে এসব “বজ্র আঁটুনি ফসকা গোরা” এখন আর পাবলিক খায় না সেদি্যকে লক্ষ্য রেখে কথাবার্তা বলা উচিত। এসব কথা বার্তার মাধ্যমে নিজের “অকাল কুষ্মাণ্ডতার” বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু বোঝা যায় না।

কোনো-না-কোনো মফস্বল সাংবাদিক নগরে আসতে পারেন তার প্রয়োজনীয় কাজের উদ্দেশ্যে। তাই বলে নগরের সব সাংবাদিক তাকে চিনতে হবে এমনটা বাধ্যতামূলক নয়। তাই যে কোন ব্যক্তির বিষয়ে প্রকৃত তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সময়

উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন যুক্ত পত্রিকার ব্যাপারে পত্রিকার নাম নেওয়ার সময় সম্মানের সহিত নেওয়া উচিত। চিন্তা করা উচিৎ ওই পত্রিকার সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে “কথিত” শব্দটি ব্যবহারে তার নিজের অযোগ্যতার পরিচয়টা বেরিয়ে আসছে কিনা। আশা রাখি ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে মন্তব্য করার পূর্বে সবাই আরও সতর্ক হবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই সকল শ্রেণীর সাধারণ অসাধারণ স্রষ্টার সৃষ্টি শিক্ষিত লোকদের।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নামিদামি ব্যানারের পরিচয়ে দিয়ে মনে হয় সাংবাদিক হওয়া যায়না। প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়

আপডেট টাইম : ০৬:২০:১২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

মোঃ শহিদুল ইসলাম

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রাম।।

নামিদামি ব্যানারের পরিচয়ে দিয়ে আমার মনে হয় সাংবাদিক হওয়া যায়না। প্রকৃত সাংবাদিক হতে হলে যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন হয়।

কোন এক সংবাদপত্রের পরিচয় দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন, তবে প্রশ্ন কর্তাদের উচিত সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার সম্পাদক অথবা ব্যুরোচীফ বরাবরে ওই ব্যক্তির মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পরিচয় জানতে চাওয়া। আশেপাশের যারা বিভিন্ন ব্যানার এ কাজ করেন তারাতো আর সাংবাদিকের লাইসেন্স প্রদান করেন না। তারা ওই অপরিচিত মিডিয়াকর্মী কে চিনতে হবে এমন বাধ্যতামূলক কোন বিষয় নয়। তাদের মধ্যে কিছু কিছু লোকজনের অতি উৎসাহী ভাব দেখে মনে হয়। সাংবাদিকের লাইসেন্স যেন তারাই প্রদান করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই এখানে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। কারো পরিচয় না জেনে তার সম্পর্কে মন্তব্য জুড়ে দেয়া সেটাও এক ধরনের অপরাধ । এসব কারণে প্রকৃত

সাংবাদিকতা আজ লাঞ্চিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারোর বা কাহারো আচরণে মনে হয় এটা যেন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত। এটা তাদের বাপ দাদার জমিদারি। অন্য কেউ এ মর্যাদায় আসীন হতে পারবেন না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় গুলো থেকে বের হওয়া অত্যন্ত জরুরী। একজন সাংবাদিকের আচরণে কথিত শব্দটি বের হওয়া উচিত নয় সহজে। কারণ যাকে কথিত শব্দ দিয়ে উল্লেখ করা হচ্ছে সেটি মূলত ডিএফপি তালিকা ভুক্তি সরকারী রেজিস্টার্ড একটি পত্রিকা।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে সে নিজে কিভাবে নিজেকে সংবাদিক পরিচয় দেয়? যার মধ্যে নূন্যতম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকেনা? দশজন মিলে জুটি বেধে গেলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। বেশ কিছু মিডিয়ার মাঠ কর্মীদের মধ্যে এমন কিছু ভাব পরিলক্ষিত হয়। আশা করব সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার দায়িত্বশীলরা তাদের মাঠকর্মীদের ভাষাগত আচরণগত শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ দিবেন। যেন

তাদের আচরণে অন্য কোন মিডিয়ার কর্মীদের নিয়ে ট্রল করার সুযোগ না থাকে। কারন আপনাদের সাথে কিছু কিছু মিডিয়ার সাথে তফাৎ হচ্ছে অল্প প্রচার এবং অধিক প্রচার। তাছাড়া আপনাদেরকে ডাবল রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়নি। কাজেই একটি সময় গিয়ে অন্যান্য তালিকাভুক্ত পত্রিকাগুলো ব্যাপক প্রচার সৃষ্টি হতে পারে ধীরে ধীরে। তাই সতর্কতার সহিত অন্যদের সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত ও বাধ্যতামূলক।

কারণ এতে আপনার অর্জিত শিক্ষার পরিচয় আপনি নিজেই দিয়ে দিচ্ছেন। ডিজিটাল এর জগতে এসব “বজ্র আঁটুনি ফসকা গোরা” এখন আর পাবলিক খায় না সেদি্যকে লক্ষ্য রেখে কথাবার্তা বলা উচিত। এসব কথা বার্তার মাধ্যমে নিজের “অকাল কুষ্মাণ্ডতার” বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু বোঝা যায় না।

কোনো-না-কোনো মফস্বল সাংবাদিক নগরে আসতে পারেন তার প্রয়োজনীয় কাজের উদ্দেশ্যে। তাই বলে নগরের সব সাংবাদিক তাকে চিনতে হবে এমনটা বাধ্যতামূলক নয়। তাই যে কোন ব্যক্তির বিষয়ে প্রকৃত তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সময়

উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন যুক্ত পত্রিকার ব্যাপারে পত্রিকার নাম নেওয়ার সময় সম্মানের সহিত নেওয়া উচিত। চিন্তা করা উচিৎ ওই পত্রিকার সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে “কথিত” শব্দটি ব্যবহারে তার নিজের অযোগ্যতার পরিচয়টা বেরিয়ে আসছে কিনা। আশা রাখি ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে মন্তব্য করার পূর্বে সবাই আরও সতর্ক হবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই সকল শ্রেণীর সাধারণ অসাধারণ স্রষ্টার সৃষ্টি শিক্ষিত লোকদের।