২৭ ঘণ্টা উত্তাল সমুদ্রে সাঁতরে বেঁচে ফেরার গল্প (ভিডিও)
- আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৫২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২
- / ২৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
অগ্নুৎপাতের পর সুনামির আঘাতে বিধ্বস্ত টোঙ্গার একে একে সামনে আসছে আক্রান্তদের বেঁচে ফেরার গল্প। বাস্তব কখনো কখনো গল্পকেও হার মানায়। তেমনি আলোড়ন তুলেছে টোঙ্গার এক ব্যক্তির ২৭ ঘণ্টা সাঁতরে বেঁচে ফেরার ঘটনা। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে লিসালা ফোলাউ (৫৭) নামে শারীরিক প্রতিবন্দী ওই ব্যক্তি জানান তিনি একটি কাঠের গুড়ি ধরে কোনোমতে সমুদ্রে ভেসে ছিলেন। ২৭ ঘণ্টা পর তিনি তীরে আসতে সক্ষম হন।
বিবিসিকে লিসালা ফোলাউ জানান, বড় বড় ঢেউ কাছে আসতে দেখে তিনি ভয় পেয়েছিলেন। তবে তার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বরই তাকে রক্ষা করবেন, তার জীবন রক্ষা করবেন।
সুনামির আঘাতে টোঙ্গায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো বিধ্বস্ত দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশটির সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একমাত্র সমুদ্রের তলদেশে থাকা ক্যাবলের মাধ্যমেই বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে, বিভিন্ন দেশের সরকার সুনামি বিধ্বস্ত টোঙ্গায় সাহায্য পাঠানো শুরু করেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে এক আগ্নেয়গিরিতে বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গাতে শনিবার সুনামি আঘাত হানে। হাঙ্গা টঙ্গা-হাঙ্গা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে এই অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। অগ্ন্যুৎপাতের পর পুরো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কেঁপে উঠে। আগ্নেয়গিরিটি থেকে টোঙ্গা ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
টোঙ্গার এক বাসিন্দা মেরে টউফা বলেন, রাতের খাবার প্রস্তুত করার সময় এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। কাছে কোথাও বোমা ফাটছে বলে তার ছোটভাই ভেবেছিলেন।
এই আগ্নেয়গিরি থেকে উৎক্ষিপ্ত গ্যাস, ধোঁয়া এবং ছাই আকাশের বিশ কিলোমিটার উপরে পর্যন্ত পৌঁছায় বলে টোঙ্গার জিওলজিক্যাল সার্ভিস জানিয়েছিল।
ফিজির রাজধানী সুভার কর্মকর্তারা জানান, আট মিনিট ধরে এই অগ্ন্যুৎপাত এতটাই ব্যাপক এবং তীব্র ছিল যে, এর আওয়াজ আটশ কিলোমিটার দূরের ফিজি পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল।
ফিজির সরকারও সুনামি সতর্কতা জারি করে এবং নিচু উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলে।
আগ্নেয়গিরি থেকে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান প্রায় ২ হাজার ৩শ কিলোমিটার দূরে হলেও সেখানে সতর্কতা জারি করা হয়।