ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

নবীনগরে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে মা ফিরলেন লাশ হয়ে।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৭:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার বাবু কাহারুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর।। কোম্পানীগঞ্জ সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রহিমা বেগম। এ সময় সড়কের পাশ থাকা একটি মরা গাছ ভেঙে মা-মেয়েসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়, আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই রহিমা বেগম মারা যায়।

নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের মৃত- আব্দুল কাদির মিয়ার স্ত্রী। সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার ভোলাচং এলাকার গড়েরপাড় ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের মৃত- আব্দুল কাদির মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫) সোমবার দুপুরে তার মেয়ে বিলকিস বেগমের নিবন্ধন করতে আরো দুই প্রতিবেশী, সখিনা বেগম ও শরীফ মিয়া নবীনগর যেতে, বাড়ির সামনে নবীনগর কোম্পানিগঞ্জ সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল, এ সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি মরা গাছের অংশ হঠাৎ করে ভেঙে তাদের সকলের উপর পরে গুরুতর আহত হন, গাছের নিচে চাপা পরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান রহিমা বেগম। পরে আশপাশের লোকজন আহতের উদ্ধার উদ্ধার করে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রহিমা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তার।স্থানীয়রা জানান, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুইপাশে সওজের দুই পাশের মরা গাছের ঢালপালা ভেঙে পরার কারণে প্রায় সময় এমন দুর্ঘটনায় ঘটনায় বহু লোক আহত হয়ে থাকে।
নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক, নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত সওজের এই মরা গাছগুলো কাটার উদ্যোগ করার দাবি করছি, এক বছরের তিনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে মরা গাছ ভেঙে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ও নিহতের বাড়িতে গিয়েছি, নিহতের লাশ দাফন কাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। সড়কের পাশের মরা গাছগুলো খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে সওজের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি, গাছ কাটার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জন্য বলেছি।
এ বিষয়ে সওজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাহী পরিচালক পংকজ ভৌমিক বলেন, দ্রুত সময়ের মাঝে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছগুলো গাছ কাটার বিষয়ে সার্ভে শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, মানবিক কারণে নিহতের পরিবারকে ও আহতের চিকিৎসার জন্য কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এই বিষয়টি দেখবো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নবীনগরে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে মা ফিরলেন লাশ হয়ে।

আপডেট টাইম : ০২:৩৭:০৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার বাবু কাহারুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর।। কোম্পানীগঞ্জ সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রহিমা বেগম। এ সময় সড়কের পাশ থাকা একটি মরা গাছ ভেঙে মা-মেয়েসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়, আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই রহিমা বেগম মারা যায়।

নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের মৃত- আব্দুল কাদির মিয়ার স্ত্রী। সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার ভোলাচং এলাকার গড়েরপাড় ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের মৃত- আব্দুল কাদির মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫) সোমবার দুপুরে তার মেয়ে বিলকিস বেগমের নিবন্ধন করতে আরো দুই প্রতিবেশী, সখিনা বেগম ও শরীফ মিয়া নবীনগর যেতে, বাড়ির সামনে নবীনগর কোম্পানিগঞ্জ সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল, এ সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি মরা গাছের অংশ হঠাৎ করে ভেঙে তাদের সকলের উপর পরে গুরুতর আহত হন, গাছের নিচে চাপা পরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান রহিমা বেগম। পরে আশপাশের লোকজন আহতের উদ্ধার উদ্ধার করে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রহিমা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তার।স্থানীয়রা জানান, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুইপাশে সওজের দুই পাশের মরা গাছের ঢালপালা ভেঙে পরার কারণে প্রায় সময় এমন দুর্ঘটনায় ঘটনায় বহু লোক আহত হয়ে থাকে।
নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক, নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত সওজের এই মরা গাছগুলো কাটার উদ্যোগ করার দাবি করছি, এক বছরের তিনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে মরা গাছ ভেঙে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ও নিহতের বাড়িতে গিয়েছি, নিহতের লাশ দাফন কাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। সড়কের পাশের মরা গাছগুলো খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে সওজের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি, গাছ কাটার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জন্য বলেছি।
এ বিষয়ে সওজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাহী পরিচালক পংকজ ভৌমিক বলেন, দ্রুত সময়ের মাঝে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছগুলো গাছ কাটার বিষয়ে সার্ভে শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, মানবিক কারণে নিহতের পরিবারকে ও আহতের চিকিৎসার জন্য কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এই বিষয়টি দেখবো।