ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
তামাক তো গরুও খায় না,অন্য ফসল আবাদ করুন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দেশে বড় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, সীমান্তে সতর্ক বিজিবি পাকিস্তান থেকে এবার ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে বাংলাদেশ মিলে গেল ডিএনএ, মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী আর্ন্তজাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে মোংলায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মার–এ–লাগোতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি এখন আর নেই, ভারতকে স্মরণ করালেন মুশফিক ঠাকুরগাঁওয়ে সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের বিভাগীয় কমিশনারের হুশিয়ারী টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত ১০নং দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনিয়ন সেচ্ছেসেবক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

তামাক তো গরুও খায় না,অন্য ফসল আবাদ করুন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

আল আমিন (রংপুর-প্রতিনিধি):
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৮:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার তিস্তানদী সংলগ্ন নোহালী ইউনিয়ন এর কে.এন.বি. স্কুল মাঠ এ ”মৎস্যজীবি ও প্রান্তিক খামারী গনসমাবেশ” এ একথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি আরও বলেন,তামাক শুধু মানুষের শরীরেরই ক্ষতি করে না, তামাক চাষ পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক চাষ কমিয়ে ভুট্টা চাষ করলে প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরি করা যাবে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক জসিম উদ্দিন, বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাঈদ রেজা।
গণসমাবেশে, নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে দুদ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবী জানান খামারী শাহিনুর ইসলাম। মৎসজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন,শুষ্ক মৌসুমে মৎস প্রকল্পে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করা যায় । প্রত্যেক বছরে যেন খামারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় এই দাবী তুলে ধরেন মুরগী খামারী রাবেয়া বেগম।
গণসমাবেশ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন,নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে, তাদের সঙ্গে অন্য মৎস্যজীবীদের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না।
এছাড়াও তিস্তা মহা পরিকল্পনা বিষয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন,আজ আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এর গুরুত্ব বিবেচনায় তিস্তার ভুমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে আপনাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করব।
তিস্তার বৈরালী মাছ খেয়ে সভাস্থলে এসেছি,স্বাদ এখনও মুখে লেগেই আছে,এর প্রজনন উন্নয়ন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করব।
চিন্তা করবেননা তিস্তা একদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অভয়াশ্রম হয়ে উঠবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তামাক তো গরুও খায় না,অন্য ফসল আবাদ করুন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

আপডেট টাইম : ০১:৪৮:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার তিস্তানদী সংলগ্ন নোহালী ইউনিয়ন এর কে.এন.বি. স্কুল মাঠ এ ”মৎস্যজীবি ও প্রান্তিক খামারী গনসমাবেশ” এ একথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি আরও বলেন,তামাক শুধু মানুষের শরীরেরই ক্ষতি করে না, তামাক চাষ পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক চাষ কমিয়ে ভুট্টা চাষ করলে প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরি করা যাবে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক জসিম উদ্দিন, বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাঈদ রেজা।
গণসমাবেশে, নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নে দুদ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবী জানান খামারী শাহিনুর ইসলাম। মৎসজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন,শুষ্ক মৌসুমে মৎস প্রকল্পে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা করা যায় । প্রত্যেক বছরে যেন খামারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় এই দাবী তুলে ধরেন মুরগী খামারী রাবেয়া বেগম।
গণসমাবেশ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন,নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে, তাদের সঙ্গে অন্য মৎস্যজীবীদের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না।
এছাড়াও তিস্তা মহা পরিকল্পনা বিষয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন,আজ আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এর গুরুত্ব বিবেচনায় তিস্তার ভুমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে আপনাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করব।
তিস্তার বৈরালী মাছ খেয়ে সভাস্থলে এসেছি,স্বাদ এখনও মুখে লেগেই আছে,এর প্রজনন উন্নয়ন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করব।
চিন্তা করবেননা তিস্তা একদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অভয়াশ্রম হয়ে উঠবে।