ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদপুর মুসআব বিন উমাইর রা:মাসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে হুদাল্লিল মুত্তাক্কিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রি -ক্যাডেট স্কুল মহম্মদপুর আইডিয়াল একাডেমীর নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সাম্প্রীতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম হলেন সাংবাদিক সাকিল আহমেদ জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি, পেছালো শুনানি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, নিহত ৩০ সিন্ডিকেট করে ‘লুটপাট’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আজমিরীগঞ্জে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও  তীব্র শীতে  জন জীবন বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির আহবায়ক কমিটি গঠন

হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি এখন আর নেই, ভারতকে স্মরণ করালেন মুশফিক

ভারতের সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২০ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ মুশফিকুল ফজল আনসারী।

তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান পারস্পরিক আস্থা এবং আত্মমর্যাদার। এই পররাষ্ট্রনীতিতে শেখ হাসিনা শাসনামলের মতো কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না।

গত ৫ আগস্ট তীব্র প্রাণঘাতি গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী সরকারের। এরপর থেকে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কয়েকবার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ঢাকা। যা গত ১৫ বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

এতো বছর ভারত যা করতে চেয়েছে একপাক্ষিকভাবে চাপিয়ে দিয়েছে। এখানকার জনগণের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এ জন্য কখনো ঢাকার কাছে জবাবদিহি করতে হয়নি দিল্লিকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থানে শরিক প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠনগুলো চায়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং নায্যতার ভিত্তিতে। গত কয়েকদিনে ভারতের বিরুদ্ধে যেভাবে জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এমন মর্যাদাবান অবস্থান এর আগে কখনো দেখাতে পারেনি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।

মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা, পারস্পরিক আস্থা, ও সম্মানের নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটি এমন একটি নীতি যা জোরালো এবং সরাসরি কথা বলে, অস্পষ্টতার জন্য কোন জায়গা নেই’।

‘সার্বভৌমত্ব এবং আত্মনির্ভরশীলতার মূলে থাকা, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব বৈদেশিক বিষয়গুলো পরিচালনা করার সাহস এবং ক্ষমতা উভয়ই রাখে। পূর্ববর্তী হাসিনা নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী শাসনামলে এটি কারো অধীন ছিল’।

জাতীয় স্বার্থরক্ষায় বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের ভিন্ন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বাংলাদেশ তার বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম বলেও মনে করেন তিনি।

মুশফিক আরো লিখেন, ‘বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি আরও দৃঢ় এবং আত্ম-নিশ্চিত কূটনৈতিক অবস্থানের দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে এবং বিশ্ব মঞ্চে এর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। এটি সমতার উপর নির্মিত একটি নীতি, জবরদস্তি নয়, অংশীদারিত্বকে উত্সাহিত করে যা ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত’।

‘বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার সাথে জটিল বৈশ্বিক গতিশীলতার সঙ্গে পথ চলতে প্রস্তুত এবং সক্ষম, প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তার মর্যাদা ও নীতি সমুন্নত রাখবে’।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি এখন আর নেই, ভারতকে স্মরণ করালেন মুশফিক

আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ মুশফিকুল ফজল আনসারী।

তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান পারস্পরিক আস্থা এবং আত্মমর্যাদার। এই পররাষ্ট্রনীতিতে শেখ হাসিনা শাসনামলের মতো কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না।

গত ৫ আগস্ট তীব্র প্রাণঘাতি গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী সরকারের। এরপর থেকে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কয়েকবার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ঢাকা। যা গত ১৫ বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

এতো বছর ভারত যা করতে চেয়েছে একপাক্ষিকভাবে চাপিয়ে দিয়েছে। এখানকার জনগণের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এ জন্য কখনো ঢাকার কাছে জবাবদিহি করতে হয়নি দিল্লিকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থানে শরিক প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠনগুলো চায়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং নায্যতার ভিত্তিতে। গত কয়েকদিনে ভারতের বিরুদ্ধে যেভাবে জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এমন মর্যাদাবান অবস্থান এর আগে কখনো দেখাতে পারেনি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।

মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা, পারস্পরিক আস্থা, ও সম্মানের নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটি এমন একটি নীতি যা জোরালো এবং সরাসরি কথা বলে, অস্পষ্টতার জন্য কোন জায়গা নেই’।

‘সার্বভৌমত্ব এবং আত্মনির্ভরশীলতার মূলে থাকা, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব বৈদেশিক বিষয়গুলো পরিচালনা করার সাহস এবং ক্ষমতা উভয়ই রাখে। পূর্ববর্তী হাসিনা নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী শাসনামলে এটি কারো অধীন ছিল’।

জাতীয় স্বার্থরক্ষায় বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের ভিন্ন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বাংলাদেশ তার বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম বলেও মনে করেন তিনি।

মুশফিক আরো লিখেন, ‘বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি আরও দৃঢ় এবং আত্ম-নিশ্চিত কূটনৈতিক অবস্থানের দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে এবং বিশ্ব মঞ্চে এর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। এটি সমতার উপর নির্মিত একটি নীতি, জবরদস্তি নয়, অংশীদারিত্বকে উত্সাহিত করে যা ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত’।

‘বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার সাথে জটিল বৈশ্বিক গতিশীলতার সঙ্গে পথ চলতে প্রস্তুত এবং সক্ষম, প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তার মর্যাদা ও নীতি সমুন্নত রাখবে’।