ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু

পাকিস্তান থেকে এবার ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

পাকিস্তানের কাছে থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমান সম্পন্ন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে এসব চিনি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

কয়েক দশক পর ইসলামাদ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনল ঢাকা। এর আগে বেশিরভাগ সময় ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনত বাংলাদেশ। এবার ভারতের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্য পাকিস্তান থেকেও কিনছে ঢাকা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছ দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বহু দশক পর এত বড় পরিমাণে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে চিনি পাঠাচ্ছে। এরইমধ্যে সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টন ৫৩০ ডলারে পৌঁছেছে।

চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের অনুমোদনে কমবেশি ৬ লাখ টন চিনির রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে পাকিস্তানের। এর মধ্যে ৫০,০০০ টন চিনি কিনেছে থাইল্যান্ড।

পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ী মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে। পরিকল্পনা অনুসারে চিনি রপ্তানি করে পাকিস্তান ৪০-৫০ কােটি ডলার আয় করবে। পাকিস্তানের চিনি শিল্প দেশটির অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জটিল এবং কখনও কখনও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কয়েক দশক ধরে সীমিত থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। তবে নতুন করে ক্রয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতির দিকে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে এত দিন সরাসরি কোনো কনটেইনার জাহাজসেবা ছিল না। তবে গত নভেম্বরে পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানাচ্ছে, গত অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে সে সময় পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ব্যয় ছিল ৮০ কোটি ডলার।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তান থেকে এবার ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের কাছে থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমান সম্পন্ন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে এসব চিনি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

কয়েক দশক পর ইসলামাদ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনল ঢাকা। এর আগে বেশিরভাগ সময় ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনত বাংলাদেশ। এবার ভারতের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্য পাকিস্তান থেকেও কিনছে ঢাকা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছ দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বহু দশক পর এত বড় পরিমাণে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে চিনি পাঠাচ্ছে। এরইমধ্যে সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টন ৫৩০ ডলারে পৌঁছেছে।

চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের অনুমোদনে কমবেশি ৬ লাখ টন চিনির রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে পাকিস্তানের। এর মধ্যে ৫০,০০০ টন চিনি কিনেছে থাইল্যান্ড।

পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ী মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে। পরিকল্পনা অনুসারে চিনি রপ্তানি করে পাকিস্তান ৪০-৫০ কােটি ডলার আয় করবে। পাকিস্তানের চিনি শিল্প দেশটির অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জটিল এবং কখনও কখনও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কয়েক দশক ধরে সীমিত থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। তবে নতুন করে ক্রয় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতির দিকে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে এত দিন সরাসরি কোনো কনটেইনার জাহাজসেবা ছিল না। তবে গত নভেম্বরে পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানাচ্ছে, গত অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে সে সময় পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ব্যয় ছিল ৮০ কোটি ডলার।