ওমর ফারুক : বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসন একীভূত করে দেওয়ার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে মোংলা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অচল করে দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোংলা পৌর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো: হোসেন। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে মোংলা পৌরসভার সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত নির্বাচন কমিশন। বাগেরহাট-৩ আসন একীভূত করার সিদ্ধান্ত একটি দুরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত।”
তিনি আরও বলেন, “রামপাল-মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসন এখানকার মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও অস্তিত্বের প্রতীক। এটা মুছে দেওয়ার চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। সরকার যদি জনগণের দাবি মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মোংলা বন্দরসহ উপকূলজুড়ে অচল অবস্থা তৈরি হবে। প্রয়োজনে আমরা রাজপথ দখলে নেব।”
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী মোংলা উপজেলা শাখার আমীর হযরত মাওলানা মোঃ আবু হানিফ। তিনি বলেন, “যারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নির্বাচনী সীমানা কাটছাঁট করে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। জনগণের রায় ছিনিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমরা চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট মোঃ হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রহমান, মোঃ আনিসুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ আবিদ হাসান, হযরত মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।
বক্তারা একবাক্যে বলেন, “বিচার চাই, বঞ্চনার অবসান চাই। বাগেরহাট-৩ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই আসন ফিরিয়ে না দিলে আন্দোলনের ভয়াবহ রূপ দেখবে ক্ষমতাসীনরা।”
জনতার মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত হয় মোংলার রাজপথ। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাগেরহাট-৩ আসন পুনঃবহালের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলে জানানো হয়।
প্রিন্ট