ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ায়
- আপডেট টাইম : ১১:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
- / ১৯৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
অকাস চুক্তি নিয়ে বিরোধের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছিল ফ্রান্স। এবার দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ককে ‘নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠাচ্ছে ফ্রান্স।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করে অস্ট্রেলিয়া।
এ চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন ক্রয়সংক্রান্ত একটি চুক্তি বাতিল করে দেয়।
প্যারিস অস্ট্রেলিয়ার এ কর্মকাণ্ডকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ মতো বলে উল্লেখ করে।
এ চুক্তির আকস্মিক ঘোষণার পর ফ্রান্স ক্যানবেরা ও ওয়াশিংটন থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ডেকে পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে কথা বলে ফ্রান্স। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিরোধ মেটাতে দেশটি তেমন একটা আগ্রহী বলে মনে হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আমার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইভস লে দ্রিয়ান বুধবার বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে শুরু হলেও প্রশান্ত মহাসাগরে সক্রিয় থাকার ব্যাপারে আমাদের সংকল্পে এটি প্রভাব ফেলবে না। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বাতিল হয়ে যাওয়া সাবমেরিন চুক্তির বিষয়ে ‘ফ্রান্সের স্বার্থ সুরক্ষায়ও’ কাজ করবেন।
ফ্রান্সের কাছ থেকে সাবমেরিন পেতে অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত ৯০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছে, চুক্তি বাতিল করায় তাদের এখন ন্যূনতম আরও ২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারা ফ্রান্সের গভীর হতাশার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন গত মাসে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। তারা বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দেশ এটি বদলাবে না।
চীনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া অকাস চুক্তি সই করে বলে ধারণা করা হয়।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ভার্চুয়াল সভায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নতুন জোটকে তাদের সম্পর্ক জোরদারে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ নতুন জোট অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির যোগ্যতা অর্জনে সহযোগিতা করবে।