তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে জাতিসংঘে আহ্বান কাতার আমিরের
- আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২২৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
বয়কট না করে তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিশ্ব নেতাদের সামনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।
কাতার আমির বলেন, তালেবানকে প্রত্যাখান করা মানে সংকট আরও তীব্রতর হওয়া। এজন্য সবার উচিত তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। কারণ আলোচনার মাধ্যমেই ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে।
শেখ তামিম আরও বলেন, তার দেশ তালেবানদের দখলের পর আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার মানুষকে ‘মানবিক কর্তব্য’ হিসেবে সরিয়ে নেওয়ার কোন প্রচেষ্টা ছাড়েনি। এবং দোহায় করা সব চুক্তি বাস্তবায়নে তার অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে সবকিছু অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে দোহা আমাদের অঞ্চলে আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক কর্মকাণ্ডের রাজধানী।’
প্রসঙ্গত, তালেবান কাবুল দখলের পর বিদেশি সেনা প্রত্যাহার এবং দেশটি থেকে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে সংকটময় পরিস্থিতিতেও পাশে দাঁড়িয়েছে কাতার। ইতোমধ্যে আফগান জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তাও পাঠিয়েছে দেশটি।
এদিকে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার জন্য জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে লেখা চিঠিতে তালেবান বলেছে, গত ১৫ আগস্ট সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পতন হয়েছে এবং বিশ্ব এখন আর তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
চিঠিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত গনি সরকারের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম ইসাকজাইকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে তালেবান আরও বলেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভাষণ দিতে চান।
তালেবানের এ চিঠি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারহান হক। তিনি বলেন, তালেবানের চিঠিটি সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
তালেবানের পক্ষ থেকে আমির খান মুত্তাকি ওই চিঠিতে সই করেছেন এবং এতে মোহাম্মদ সুহাইল শাহিনকে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।