ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দ. কোরিয়া

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৫:৫১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

দক্ষিণ কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ডুবোজাহাজ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) উৎক্ষেপণ করেছে।

 

 

মঙ্গলবার দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের সক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম দেশ হয়ে উঠল দক্ষিণ কোরিয়া।

অনামা সামরিক সূত্রগুলো উদ্ধৃত করে ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, গত মাসে নিমজ্জিত একটি বার্জ থেকে একই ধরনের পরীক্ষা চালানোর পর গত সপ্তাহে একটি নতুন দোসান আন চাং-হো ডুবোজাহাজ সফলভাবে পানির নিচ থেকে পরীক্ষামূলক এ উৎক্ষেপণ ঘটিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা একটি সামরিক ইউনিটের সক্ষমতার বিস্তারিত নিশ্চিত করতে পারবে না।

এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষা উন্নয়ন সংস্থা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে তাদের প্রশ্নগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২২-২০২৬ সময়কালের জন্য তাদের নীলনকশা উন্মোচন করেছে সেখানে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত ধ্বংসাত্মক শক্তিসম্পন্ন’ নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে।

এতদিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ভারত ও উত্তর কোরিয়া এসএলবিএম তৈরি করে আসছিল। এই সব দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারও আছে। সাধারণত পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে এসএলবিএমকে আরও ধ্বংসাত্মক করে তোলা হয়।

ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এ প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে হায়ুনমু ফোর-ফোর সাঙ্কেতিক নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার হায়ুনমু-টুবি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ভ্যারিয়েন্ট বলে মনে করা হচ্ছে যার পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।

দক্ষিণ কোরিয়া ক্রমাগতভাবে উত্তর কোরিয়ার অত্যন্ত সুরক্ষিত বাংকার ও টানেলগুলোকে লক্ষ্যস্থল করার নকশা করে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সামরিক নির্ভরতা কমিয়ে আনারও একটি পথ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সেখানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে।

উভয় কোরিয়াই পরস্পরের সামরিক উন্নয়নকে তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে হাজির করে। গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন এসএলবিএম উন্মোচন করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দ. কোরিয়া

আপডেট টাইম : ০৭:২৫:৫১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

দক্ষিণ কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে ডুবোজাহাজ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) উৎক্ষেপণ করেছে।

 

 

মঙ্গলবার দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের সক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম দেশ হয়ে উঠল দক্ষিণ কোরিয়া।

অনামা সামরিক সূত্রগুলো উদ্ধৃত করে ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, গত মাসে নিমজ্জিত একটি বার্জ থেকে একই ধরনের পরীক্ষা চালানোর পর গত সপ্তাহে একটি নতুন দোসান আন চাং-হো ডুবোজাহাজ সফলভাবে পানির নিচ থেকে পরীক্ষামূলক এ উৎক্ষেপণ ঘটিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা একটি সামরিক ইউনিটের সক্ষমতার বিস্তারিত নিশ্চিত করতে পারবে না।

এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষা উন্নয়ন সংস্থা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে তাদের প্রশ্নগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে এই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২২-২০২৬ সময়কালের জন্য তাদের নীলনকশা উন্মোচন করেছে সেখানে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত ধ্বংসাত্মক শক্তিসম্পন্ন’ নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে।

এতদিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ভারত ও উত্তর কোরিয়া এসএলবিএম তৈরি করে আসছিল। এই সব দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারও আছে। সাধারণত পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে এসএলবিএমকে আরও ধ্বংসাত্মক করে তোলা হয়।

ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এ প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে হায়ুনমু ফোর-ফোর সাঙ্কেতিক নাম দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার হায়ুনমু-টুবি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ভ্যারিয়েন্ট বলে মনে করা হচ্ছে যার পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।

দক্ষিণ কোরিয়া ক্রমাগতভাবে উত্তর কোরিয়ার অত্যন্ত সুরক্ষিত বাংকার ও টানেলগুলোকে লক্ষ্যস্থল করার নকশা করে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সামরিক নির্ভরতা কমিয়ে আনারও একটি পথ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সেখানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে।

উভয় কোরিয়াই পরস্পরের সামরিক উন্নয়নকে তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে হাজির করে। গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন এসএলবিএম উন্মোচন করেছে।