ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস Logo পটুয়াখালী-২ আসনে এনসিপি-জামায়াতে উচ্ছ্বাস, বিএনপিতে বিষাদ Logo ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী Logo ফরিদপুরে চেয়ারম্যানের শেল্টারে চায়না দুয়ারি জালের কারখানার রমরমা ব্যবসা, প্রশাসনের অভিযানে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা Logo রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদানি গ্রুপ Logo টানা কমছে দেশের রপ্তানি আয়, সামনে আরও কমার আশঙ্কা Logo বিএনপির ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা Logo আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে Logo আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ দলিল লেখক বরখাস্ত Logo সাভারে ট্রলি ভ্যানের ব্রেক ফেল আয়ারল্যান্ডের ওপরে এসে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

পুলিশকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা, আহত ৪

বগুড়ার শেরপুরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ ও এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সিরাজুলের স্বজনদের অতর্কিত হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

সোমাবর (২১ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই সরাফত, কনস্টেবল নুরনবী, সিরাজুল ইসলাম ও আইনুল ইসলাম। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়। এতে শেরুয়া দহপাড়ার সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ১০৭ নম্বর আসামি করা হয়। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে সিরাজুলকে গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনার পথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন ও ভাতিজাসহ পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আকস্মিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটককে গ্রেপ্তার করে।

এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে নিয়ে আসার সময় তার ২ ছেলে, ভাতিজারা, পরিবারের সদস্য ও ২০/২৫ জন মহিলা হঠাৎ করেই পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশকে মারপিট করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, পুলিশ নাশকতা মামলার ইজাহার নামীয় আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়। তখনও একই কায়দায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা: শাখায়াত হাসান জীবন আজমিরীগঞ্জ বানিয়াচংয়ে উচ্ছ্বাস

পুলিশকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা, আহত ৪

আপডেট সময় ০১:১৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ ও এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সিরাজুলের স্বজনদের অতর্কিত হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

সোমাবর (২১ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এস আই সরাফত, কনস্টেবল নুরনবী, সিরাজুল ইসলাম ও আইনুল ইসলাম। আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়। এতে শেরুয়া দহপাড়ার সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ১০৭ নম্বর আসামি করা হয়। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে সিরাজুলকে গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনার পথে তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটন ও ভাতিজাসহ পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জন নারী-পুরুষ আকস্মিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ তার ছেলে নজরুল ইসলাম লিটককে গ্রেপ্তার করে।

এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামিকে নিয়ে আসার সময় তার ২ ছেলে, ভাতিজারা, পরিবারের সদস্য ও ২০/২৫ জন মহিলা হঠাৎ করেই পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশকে মারপিট করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, পুলিশ নাশকতা মামলার ইজাহার নামীয় আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়। তখনও একই কায়দায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট