ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় রহস্য জনক ভাবে শিশু সন্তান নিয়ে নারী নিখোঁজ ১৫ দিনেও খোঁজ মেলেনি! মোংলায় মানব পাচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ১০ বছর পূর্তীতে বিজয় মাহমুদের ফ্রী কোরআন শিক্ষার আসর সিএমপি পাঁচলাইশ থানা পুলিশ. উদঘাটন করলো দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পরিবারের নিকট হস্তান্তর টঙ্গী দত্তপাড়ায় রান্না ঘরের গ্রীল কেটে বাসা বাড়িতে ডাকাতি ধামইরহাটে হজ্জ যাত্রীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ও হজ্জ সামগ্রী বিতরণ পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার পুলিশ সুপার কর্তৃক মুক্তাগাছা থানা বার্ষিক পরিদর্শন নওগাঁয় র‍্যাবের হাতে আটক ৩ মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

কারখানা স্থাপন করে জীবনবিনাশি নকল ওষুধ তৈরি করত তারা

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৮৯ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ক্যান্সার ও করোনা মহামারিতে বহুল ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছে তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একমি কোম্পানির মোনাস-৭০০ বক্স, স্কয়ার কোম্পানির সেকলো- ৫০ বক্স, জেনিথ কোম্পানির ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস-৭৪৮ বক্সসহ অন্যান্য কোম্পানির বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির মেশিন, ডায়াস ও ওষুধের খালি বক্স উদ্ধার করা হয়।

বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান করে তাদের  গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে করে এ প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেফতার তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে জীবন রক্ষাকারী এসব নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর, মনোয়ার এ্যালো এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধের পাতায় ছাপ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করত।  গ্রেফতার নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেওয়ার পর তৈরি এসব নকল ওষুধ গ্রেফতার সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করা হতো।

তিনি আরও বলেন,  এসব ওষুধ এর ইনগ্রিডিয়েন্টস এ মূলত প্রয়োজনীয় কোনো সক্রিয় উপাদান থাকে না।  এ ছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র এর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় রহস্য জনক ভাবে শিশু সন্তান নিয়ে নারী নিখোঁজ ১৫ দিনেও খোঁজ মেলেনি!

কারখানা স্থাপন করে জীবনবিনাশি নকল ওষুধ তৈরি করত তারা

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ক্যান্সার ও করোনা মহামারিতে বহুল ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছে তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একমি কোম্পানির মোনাস-৭০০ বক্স, স্কয়ার কোম্পানির সেকলো- ৫০ বক্স, জেনিথ কোম্পানির ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস-৭৪৮ বক্সসহ অন্যান্য কোম্পানির বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির মেশিন, ডায়াস ও ওষুধের খালি বক্স উদ্ধার করা হয়।

বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান করে তাদের  গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে করে এ প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেফতার তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে জীবন রক্ষাকারী এসব নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর, মনোয়ার এ্যালো এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধের পাতায় ছাপ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করত।  গ্রেফতার নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেওয়ার পর তৈরি এসব নকল ওষুধ গ্রেফতার সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করা হতো।

তিনি আরও বলেন,  এসব ওষুধ এর ইনগ্রিডিয়েন্টস এ মূলত প্রয়োজনীয় কোনো সক্রিয় উপাদান থাকে না।  এ ছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র এর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদ।