ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য,পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল-রিসোর্ট রাফা খালি করে দিতে বলল ইসরাইলি বাহিনী আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯ আমেরিকা হামলা চালালে ইরানও ‘কঠোর জবাব’ দেবে: খামেনি ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ

মোংলা চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করা চোরা মিঠুর খুঁটির জোর কোথায়?

মোংলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১২৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছিলেন চাউল চোর। ব্যবসায়ীদের আমদানি করা চাউল বস্তা থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চুরি করে এ উপাধি পান তিনি। পুরো নাম মোঃ মিঠু হলেও সকলে তাকে টুঙ্গিপাড়ার চোরা মিঠু হিসেবে চিনেন। আওয়ামীলীগ আমলে দলের নাম ভাঙিয়ে শেষ চার বছরে হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এ মিঠু বর্তমানে মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করার মূল করিগর। চাউলের বাজার অস্থিশীল করা মিঠুর খুটির জোর কোথায় এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব কথা এক বাক্যে অস্বীকার করেছেন মিঠু। তার বক্তব্য বতমান দেশের দুরবস্থাই মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীলতার কারন।

খবর নিয়ে জানাযায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মিঠু একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। পৈত্রিক ভাবে পাওয়া দুটি টুলারে মোংলার ব্যবসায়ীদের মালামাল আমদানি রপ্তানি করে চলতো তাদের সংসার। তবে বিগত আওয়ামীলীগ আমলের শেষ চার বছরে মিঠু চাউল কালো বাজারির সাথে জড়িয়ে পড়েন। চাউল মজুদ ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান । আওয়ামীলীগ নেতাদের নজরে আসার জন্য তৎকালিন বিএনপি জামায়াতের আন্দোলন দমাতে কয়েক হাজার লগি বৈঠা এনে উপহার দেন। পুরস্কার স্বরূপ তার বড় ভাই টিটু ওরফে গয়না টিটু মোংলার পাকা জেটিতে বন্দরের জায়গা অবৈধ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। সুচতুর মিঠু সরকারের আয়কর ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বছরের কোটি কোটি টাকার মুনাফা লুটে নিচ্ছে। বতর্মানে গা বাঁচাতে বিএনপির তৃতীয় সারির কয়েকজন নেতাকে এ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়েছে মিঠু ও তার বড় ভাই টিটু। বিষয়টি খতিতে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মোংলা মোংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান মাষ্টার। তিনি বলেন বাজার সিন্ডিকেট করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।

মিঠুর কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন নাম প্রকাশ না করা সতে বলেছেন ব্লাকি করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে মিঠু। এ টাকা সাদা করার জন্য বতর্মানে চাউল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন মিঠুর ২৫ কেজির ৮শ বস্তার দুই থেকে তিনটি ট্রাক মোংলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় যায়। বাজার উধগতি দেখলে মিঠু মজুদ শুরু করে। ফলে মোংলা চাউলের বাজার আরো বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিটি দোকানে তার টাকা দাদন দেওয়ার কারণে মুখ বুঝে তার চাউল ক্রয় করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ীরা। অথচ চাউল গুদাম জাতের তার কোন লাইসেন্স নেই। দুইজন পুরাতন ব্যবসায়ী তার এই গুদামজাতে সহায়তা করছে। সকলের দাবী কলো বাজারি মিঠুকে আইনের আওতায় আনলে মোংলার চাইলের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

এ বিষয়ে মোংলা থানা ওসি মোঃ মোঃ আনিসুর রহমান বলেছেন ‘ আমি নতুন মোংলা থানায় যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি আমলে নিয়েছি। অপরাধ সংঘঠিত করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলা চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করা চোরা মিঠুর খুঁটির জোর কোথায়?

আপডেট টাইম : ০৩:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

ছিলেন চাউল চোর। ব্যবসায়ীদের আমদানি করা চাউল বস্তা থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চুরি করে এ উপাধি পান তিনি। পুরো নাম মোঃ মিঠু হলেও সকলে তাকে টুঙ্গিপাড়ার চোরা মিঠু হিসেবে চিনেন। আওয়ামীলীগ আমলে দলের নাম ভাঙিয়ে শেষ চার বছরে হঠাৎ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এ মিঠু বর্তমানে মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীল করার মূল করিগর। চাউলের বাজার অস্থিশীল করা মিঠুর খুটির জোর কোথায় এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব কথা এক বাক্যে অস্বীকার করেছেন মিঠু। তার বক্তব্য বতমান দেশের দুরবস্থাই মোংলার চাউলের বাজার অস্থিতিশীলতার কারন।

খবর নিয়ে জানাযায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মিঠু একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। পৈত্রিক ভাবে পাওয়া দুটি টুলারে মোংলার ব্যবসায়ীদের মালামাল আমদানি রপ্তানি করে চলতো তাদের সংসার। তবে বিগত আওয়ামীলীগ আমলের শেষ চার বছরে মিঠু চাউল কালো বাজারির সাথে জড়িয়ে পড়েন। চাউল মজুদ ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান । আওয়ামীলীগ নেতাদের নজরে আসার জন্য তৎকালিন বিএনপি জামায়াতের আন্দোলন দমাতে কয়েক হাজার লগি বৈঠা এনে উপহার দেন। পুরস্কার স্বরূপ তার বড় ভাই টিটু ওরফে গয়না টিটু মোংলার পাকা জেটিতে বন্দরের জায়গা অবৈধ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। সুচতুর মিঠু সরকারের আয়কর ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে বছরের কোটি কোটি টাকার মুনাফা লুটে নিচ্ছে। বতর্মানে গা বাঁচাতে বিএনপির তৃতীয় সারির কয়েকজন নেতাকে এ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়েছে মিঠু ও তার বড় ভাই টিটু। বিষয়টি খতিতে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মোংলা মোংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান মাষ্টার। তিনি বলেন বাজার সিন্ডিকেট করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।

মিঠুর কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন নাম প্রকাশ না করা সতে বলেছেন ব্লাকি করে কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে মিঠু। এ টাকা সাদা করার জন্য বতর্মানে চাউল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন মিঠুর ২৫ কেজির ৮শ বস্তার দুই থেকে তিনটি ট্রাক মোংলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় যায়। বাজার উধগতি দেখলে মিঠু মজুদ শুরু করে। ফলে মোংলা চাউলের বাজার আরো বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিটি দোকানে তার টাকা দাদন দেওয়ার কারণে মুখ বুঝে তার চাউল ক্রয় করতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ীরা। অথচ চাউল গুদাম জাতের তার কোন লাইসেন্স নেই। দুইজন পুরাতন ব্যবসায়ী তার এই গুদামজাতে সহায়তা করছে। সকলের দাবী কলো বাজারি মিঠুকে আইনের আওতায় আনলে মোংলার চাইলের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

এ বিষয়ে মোংলা থানা ওসি মোঃ মোঃ আনিসুর রহমান বলেছেন ‘ আমি নতুন মোংলা থানায় যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি আমলে নিয়েছি। অপরাধ সংঘঠিত করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।