ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিমানবন্দরে হয়রানির ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির। এর আগে এক মিডিয়া কনফারেন্সে অংশ নিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশি জেরা এবং হয়রানির মুখে পড়েন তিনি।

শনিবার এই বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার পরপরই নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা সহ্য করবে না।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নূরুল কবির।

ফেসবুক নিউ এজ সম্পাদক লিখেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরে আমাকে যে হয়রানি করা হয়েছিল তার দ্রুত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে কোনো সাংবাদিককে এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে ঘোষণা দেওয়ার জন্য আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ জানাই’।

তবে এ ঘটনায় জুনিয়র ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার শাস্তির মুখে পড়ায় আহত হয়েছেন তিনি। নূরুল কবিরের মতে, বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন অপরাধীদের আটকাতে এই ধরনের তালিকা তৈরির পেছনে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত। আর জুনিয়র অফিসারা এই নির্দেশ পালন করেন। তাই শীর্ষ পর্যায়ের কারো গাফিলতির জন্য জুনিয়র অফিসারের শাস্তি পাওয়া অনায্য।

নূরুল কবির লিখেন, ‘আমার হয়রানির জন্য বিমানবন্দরে দায়িত্বরত জুনিয়র ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসারকে শাস্তি দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে আমি বিরক্ত। এই অফিসার বিমানবন্দরে যাদের আটকাতে হবে এই তালিকা তৈরি করেননি, বরং তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করেছেন’।

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে শালীন ছিলেন এবং তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে আমার ছেড়ে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখেছি’।

‘এই ভদ্রলোককে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে একজন জুনিয়র অফিসারকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার জন্য বলির পাঁঠা। তাই এটা অগ্রহণযোগ্য। সরকারী কর্তৃপক্ষের বরং তদন্ত করা উচিত এবং শীর্ষ পর্যায়ের যারা তালিকা তৈরি করেছে এবং স্বৈরাচারী শাসনের উৎখাতের পরও নিরীহ যাত্রীদের হয়রানি চালিয়ে গেছে তাদের খুঁজে বের করা উচিত’।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বিমানবন্দরে হয়রানির ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির। এর আগে এক মিডিয়া কনফারেন্সে অংশ নিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশি জেরা এবং হয়রানির মুখে পড়েন তিনি।

শনিবার এই বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার পরপরই নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা সহ্য করবে না।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নূরুল কবির।

ফেসবুক নিউ এজ সম্পাদক লিখেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরে আমাকে যে হয়রানি করা হয়েছিল তার দ্রুত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে কোনো সাংবাদিককে এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে ঘোষণা দেওয়ার জন্য আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ জানাই’।

তবে এ ঘটনায় জুনিয়র ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার শাস্তির মুখে পড়ায় আহত হয়েছেন তিনি। নূরুল কবিরের মতে, বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন অপরাধীদের আটকাতে এই ধরনের তালিকা তৈরির পেছনে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত। আর জুনিয়র অফিসারা এই নির্দেশ পালন করেন। তাই শীর্ষ পর্যায়ের কারো গাফিলতির জন্য জুনিয়র অফিসারের শাস্তি পাওয়া অনায্য।

নূরুল কবির লিখেন, ‘আমার হয়রানির জন্য বিমানবন্দরে দায়িত্বরত জুনিয়র ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসারকে শাস্তি দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে আমি বিরক্ত। এই অফিসার বিমানবন্দরে যাদের আটকাতে হবে এই তালিকা তৈরি করেননি, বরং তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করেছেন’।

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে শালীন ছিলেন এবং তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে আমার ছেড়ে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখেছি’।

‘এই ভদ্রলোককে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে একজন জুনিয়র অফিসারকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার জন্য বলির পাঁঠা। তাই এটা অগ্রহণযোগ্য। সরকারী কর্তৃপক্ষের বরং তদন্ত করা উচিত এবং শীর্ষ পর্যায়ের যারা তালিকা তৈরি করেছে এবং স্বৈরাচারী শাসনের উৎখাতের পরও নিরীহ যাত্রীদের হয়রানি চালিয়ে গেছে তাদের খুঁজে বের করা উচিত’।