আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।
ইরানে ১৯৮৮ সালে ভিন্নমতাবলম্বীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগে দেশটির কর্মকর্তা হামিদ নূরীর বিচার শুরু করেছে সুইডেন।
মঙ্গলবার ইরানের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইউরোপের দেশটিতে বিচার শুরু হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
তেহরানের নিকটবর্তী আলবুর্জ প্রদেশের রাজধানী কারাজের গোহারদশত কারাগারের তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর হামিদ নূরীর বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ১৯৮৮ সালে পিপলস মুজাহিদিন বা এমইকে নামে পরিচিতি দলের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেক বন্দির জীবন নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন সুইডিশ প্রসিকিউটররা।
৬০ বছর বয়সি এ কর্মকর্তা সুইডেনে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধারণা করা হয়, সে সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নির্দেশে দেশটিতে এমইকে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ বিষয়টি ইরানে অত্যন্ত বিতর্কিত, যার সঙ্গে ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নামও জড়িয়ে আছে।
১৯৮১ সালে রাইসি তেহরানের নিকটবর্তী ইরানের শহর কারাজের বিচার বিভাগে যোগ দেন। ১০ বছরেরও কম সময়ে তিনি বিচার বিভাগে উল্লেখযোগ্য পদোন্নতি পান। এর পর কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে একটি ট্রাইবুন্যালের সদস্য হন যাকে বিরোধীরা ‘ঘাতক কমিটি’ হিসেবে অভিহিত করে। ১৯৮৮ সালে এই কমিটি অসংখ্য রাজনৈতিক বন্দিকে ফাঁসির আদেশ দেয়। এদের মধ্যে মার্কসবাদী, বামপন্থি রাজনীতিবিদ এবং পিপলস মুজাহিদিন অরগানাইজেশন অব ইরানের (এমইকে) বহু সদস্য ছিলেন।