ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।

দেশজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। উপজেলা পর্যায়েও এবারে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এ কারনে যানবাহন চলছেনা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এঅবস্থায় খেটে খাওয?া মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে টাকাও নেই। গতবছর করোনা শুরুর সময় কুড়িগ্রামের উপজেলা গুলোয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়ালেও এবারের চিত্র ভিন্ন।দিন এনে দিন খাওয়া এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। সরকারিভাবে যে সব বরাদ্দ আসছে, সেগুলো যে কজন পাচ্ছেন তাদের কয়েকটা দিন কোনমতে যাচ্ছে। এরপরই আবারও দুর্দশা। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন তারা ত্রান সহায়তা বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিনই খাদ্য সহায়তা যাচ্ছে মানুষের বাড়ীতে। কঠোর লকডাউনের কারনে গ্রাম থেকে যেসব দিনমজুর শহরে এসে কাজ করতেন তারাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই হোটেলে কাজ করতেন, শহরে রিক্সা চালাতেন, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা কেউই শহরে আসতে পারছে না। ফলে শ্রমজীবীরা পুরোপুরি এখন ঘরবন্দী। এমনকি সারাদিন ঘুরেও হাত পাতবেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে ভিক্ষুকদের। জেলা হোটেল কর্মচারী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হোটেল বন্ধ, কাজ নেই। আবার সহযোগীতাও পাচ্ছি না কারও। এ অবস্থায় সকল হোটেল কর্মচারীরা মানবেতর দিন পার করছেন। শহরের ঈদগাহ পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে চা- বিস্কুট বিক্রি করে ৫ জনের সংসার চালাতেন শফিকুল। এবারের লকডাউনে গত ৭দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় সে আধপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আরও ১ সপ্তাহ কি করে চলবেন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। কুড়িগ্রাম শহরের রিক্সা চালক আলম, সৈয়দ ও আলীকদম বলেন খুবই কস্টে আছি আমরা। ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছি। ভ্যানচালক রহিম মিয়া বলেন, গত বছর করোনার সময় অনেকেই খাবার দিয়েছে, টাকা দিয়েছে। এবার তো কেউ কোন সহায়তা দেয়না বাহে। অসহায় মানুষের পাশে নেই বিত্তবানরা। বাস শ্রমিক জামাল উদ্দিন বলেন, বাস বন্ধ কাজ নেই। দিন কাটাচ্ছি চরম কষ্টে। শুনি সহায়তা পাবো কিন্তু কিছুই তো পাচ্ছি না। জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান ও টাকা বিতরনের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এসব সরবরাহ করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি চলছে। শুরুর দিকে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলো মানুষের সহায়তায়। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিত্তবানরা সহায়তা করে কিন্তু লম্বা সময় ধরে চলতে থাকায় সম্পদশালীরা আর এগিয়ে আসছেনা। সরকারি ভাবে নিয়মিত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে

আপডেট টাইম : ০১:২৩:১৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।

দেশজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। উপজেলা পর্যায়েও এবারে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এ কারনে যানবাহন চলছেনা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এঅবস্থায় খেটে খাওয?া মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে টাকাও নেই। গতবছর করোনা শুরুর সময় কুড়িগ্রামের উপজেলা গুলোয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়ালেও এবারের চিত্র ভিন্ন।দিন এনে দিন খাওয়া এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। সরকারিভাবে যে সব বরাদ্দ আসছে, সেগুলো যে কজন পাচ্ছেন তাদের কয়েকটা দিন কোনমতে যাচ্ছে। এরপরই আবারও দুর্দশা। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন তারা ত্রান সহায়তা বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিনই খাদ্য সহায়তা যাচ্ছে মানুষের বাড়ীতে। কঠোর লকডাউনের কারনে গ্রাম থেকে যেসব দিনমজুর শহরে এসে কাজ করতেন তারাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই হোটেলে কাজ করতেন, শহরে রিক্সা চালাতেন, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা কেউই শহরে আসতে পারছে না। ফলে শ্রমজীবীরা পুরোপুরি এখন ঘরবন্দী। এমনকি সারাদিন ঘুরেও হাত পাতবেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে ভিক্ষুকদের। জেলা হোটেল কর্মচারী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হোটেল বন্ধ, কাজ নেই। আবার সহযোগীতাও পাচ্ছি না কারও। এ অবস্থায় সকল হোটেল কর্মচারীরা মানবেতর দিন পার করছেন। শহরের ঈদগাহ পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে চা- বিস্কুট বিক্রি করে ৫ জনের সংসার চালাতেন শফিকুল। এবারের লকডাউনে গত ৭দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় সে আধপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আরও ১ সপ্তাহ কি করে চলবেন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। কুড়িগ্রাম শহরের রিক্সা চালক আলম, সৈয়দ ও আলীকদম বলেন খুবই কস্টে আছি আমরা। ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছি। ভ্যানচালক রহিম মিয়া বলেন, গত বছর করোনার সময় অনেকেই খাবার দিয়েছে, টাকা দিয়েছে। এবার তো কেউ কোন সহায়তা দেয়না বাহে। অসহায় মানুষের পাশে নেই বিত্তবানরা। বাস শ্রমিক জামাল উদ্দিন বলেন, বাস বন্ধ কাজ নেই। দিন কাটাচ্ছি চরম কষ্টে। শুনি সহায়তা পাবো কিন্তু কিছুই তো পাচ্ছি না। জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান ও টাকা বিতরনের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এসব সরবরাহ করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি চলছে। শুরুর দিকে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলো মানুষের সহায়তায়। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিত্তবানরা সহায়তা করে কিন্তু লম্বা সময় ধরে চলতে থাকায় সম্পদশালীরা আর এগিয়ে আসছেনা। সরকারি ভাবে নিয়মিত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে।