ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:১৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • / ২৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।

দেশজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। উপজেলা পর্যায়েও এবারে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এ কারনে যানবাহন চলছেনা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এঅবস্থায় খেটে খাওয?া মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে টাকাও নেই। গতবছর করোনা শুরুর সময় কুড়িগ্রামের উপজেলা গুলোয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়ালেও এবারের চিত্র ভিন্ন।দিন এনে দিন খাওয়া এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। সরকারিভাবে যে সব বরাদ্দ আসছে, সেগুলো যে কজন পাচ্ছেন তাদের কয়েকটা দিন কোনমতে যাচ্ছে। এরপরই আবারও দুর্দশা। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন তারা ত্রান সহায়তা বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিনই খাদ্য সহায়তা যাচ্ছে মানুষের বাড়ীতে। কঠোর লকডাউনের কারনে গ্রাম থেকে যেসব দিনমজুর শহরে এসে কাজ করতেন তারাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই হোটেলে কাজ করতেন, শহরে রিক্সা চালাতেন, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা কেউই শহরে আসতে পারছে না। ফলে শ্রমজীবীরা পুরোপুরি এখন ঘরবন্দী। এমনকি সারাদিন ঘুরেও হাত পাতবেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে ভিক্ষুকদের। জেলা হোটেল কর্মচারী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হোটেল বন্ধ, কাজ নেই। আবার সহযোগীতাও পাচ্ছি না কারও। এ অবস্থায় সকল হোটেল কর্মচারীরা মানবেতর দিন পার করছেন। শহরের ঈদগাহ পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে চা- বিস্কুট বিক্রি করে ৫ জনের সংসার চালাতেন শফিকুল। এবারের লকডাউনে গত ৭দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় সে আধপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আরও ১ সপ্তাহ কি করে চলবেন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। কুড়িগ্রাম শহরের রিক্সা চালক আলম, সৈয়দ ও আলীকদম বলেন খুবই কস্টে আছি আমরা। ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছি। ভ্যানচালক রহিম মিয়া বলেন, গত বছর করোনার সময় অনেকেই খাবার দিয়েছে, টাকা দিয়েছে। এবার তো কেউ কোন সহায়তা দেয়না বাহে। অসহায় মানুষের পাশে নেই বিত্তবানরা। বাস শ্রমিক জামাল উদ্দিন বলেন, বাস বন্ধ কাজ নেই। দিন কাটাচ্ছি চরম কষ্টে। শুনি সহায়তা পাবো কিন্তু কিছুই তো পাচ্ছি না। জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান ও টাকা বিতরনের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এসব সরবরাহ করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি চলছে। শুরুর দিকে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলো মানুষের সহায়তায়। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিত্তবানরা সহায়তা করে কিন্তু লম্বা সময় ধরে চলতে থাকায় সম্পদশালীরা আর এগিয়ে আসছেনা। সরকারি ভাবে নিয়মিত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে

আপডেট টাইম : ০১:২৩:১৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।

দেশজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। উপজেলা পর্যায়েও এবারে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এ কারনে যানবাহন চলছেনা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এঅবস্থায় খেটে খাওয?া মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে টাকাও নেই। গতবছর করোনা শুরুর সময় কুড়িগ্রামের উপজেলা গুলোয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়ালেও এবারের চিত্র ভিন্ন।দিন এনে দিন খাওয়া এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তেমন কেউ নেই। সরকারিভাবে যে সব বরাদ্দ আসছে, সেগুলো যে কজন পাচ্ছেন তাদের কয়েকটা দিন কোনমতে যাচ্ছে। এরপরই আবারও দুর্দশা। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন তারা ত্রান সহায়তা বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিদিনই খাদ্য সহায়তা যাচ্ছে মানুষের বাড়ীতে। কঠোর লকডাউনের কারনে গ্রাম থেকে যেসব দিনমজুর শহরে এসে কাজ করতেন তারাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই হোটেলে কাজ করতেন, শহরে রিক্সা চালাতেন, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা কেউই শহরে আসতে পারছে না। ফলে শ্রমজীবীরা পুরোপুরি এখন ঘরবন্দী। এমনকি সারাদিন ঘুরেও হাত পাতবেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে ভিক্ষুকদের। জেলা হোটেল কর্মচারী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হোটেল বন্ধ, কাজ নেই। আবার সহযোগীতাও পাচ্ছি না কারও। এ অবস্থায় সকল হোটেল কর্মচারীরা মানবেতর দিন পার করছেন। শহরের ঈদগাহ পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে চা- বিস্কুট বিক্রি করে ৫ জনের সংসার চালাতেন শফিকুল। এবারের লকডাউনে গত ৭দিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় সে আধপেটা খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। আরও ১ সপ্তাহ কি করে চলবেন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। কুড়িগ্রাম শহরের রিক্সা চালক আলম, সৈয়দ ও আলীকদম বলেন খুবই কস্টে আছি আমরা। ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছি। ভ্যানচালক রহিম মিয়া বলেন, গত বছর করোনার সময় অনেকেই খাবার দিয়েছে, টাকা দিয়েছে। এবার তো কেউ কোন সহায়তা দেয়না বাহে। অসহায় মানুষের পাশে নেই বিত্তবানরা। বাস শ্রমিক জামাল উদ্দিন বলেন, বাস বন্ধ কাজ নেই। দিন কাটাচ্ছি চরম কষ্টে। শুনি সহায়তা পাবো কিন্তু কিছুই তো পাচ্ছি না। জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান ও টাকা বিতরনের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এসব সরবরাহ করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি চলছে। শুরুর দিকে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলো মানুষের সহায়তায়। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকে বিত্তবানরা সহায়তা করে কিন্তু লম্বা সময় ধরে চলতে থাকায় সম্পদশালীরা আর এগিয়ে আসছেনা। সরকারি ভাবে নিয়মিত অসহায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে।