ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।