ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঐতিহ্যবাহী কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত ধর্ষককে গণ ধোলাই পবিত্র মাহে রমজানে নগরজুড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ডমিনেশন পেট্রোলিং ও আইনশৃঙ্খলা তদারকি গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে হেরোইনহ মোহাম্মদ আলী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক ০২ জন। সংকট উত্তরণে পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিল চীন মাগুরার সেই শিশুর সব ছবি অপসারণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র হাইমচরে আগুনে পুড়ল দোকান অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেলো আল- কুরআন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / ২৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।