ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

ইউরোপীয় নেতাদের ফোনে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের আড়ি পাতার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

ইউরোপীয় নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক গোয়েন্দাগিরি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ উঠেছে। যেসব নেতাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মতো নেতাও রয়েছেন।

ডেনমার্কের টেলিভিশন চ্যানেল ডিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে তথ্য যোগাড় করতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে (এনএসএ) সহায়তা করেছে ডেনমার্কের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এফই)।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যেসব নেতারা জবাবদিহি চেয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এফই ও এনএসএ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্রাইন ব্র্যামসেন এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি। তবে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ঘনিষ্ঠ মিত্রদের পদ্ধতিগত গোয়েন্দাগিরি অগ্রহণযোগ্য।

এই গোয়েন্দাগিরি যখন করা হয় তখন ট্রাইন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

এ বিষয়ে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে কথা বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ‘মিত্রদের মধ্যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়, এমনকি মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যেও নয়।’

মেরকেল বলেছেন, তিনি ম্যাঁক্রোর মন্তব্যের সঙ্গে একমত।

জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও নরওয়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের তথ্যও সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো। এই দেশগুলোও এ ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ বলেছেন, ‘যে দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র রয়েছে তারা একে অন্যের ওপর গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে এটা অগ্রহণযোগ্য।’

অভিযোগ উঠেছে, এফই’র সহযোগিতায় ডেনমার্কের ইন্টারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে এনএসএ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনের মেসেজ ও আলাপ সংগ্রহ করেছে।

ডিআর-এর প্রতিবেদনে এনএসএর এই ক্রিয়াকলাপকে ‘অপারেশন ডুনহ্যামার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এনএসএ টেলিফোন নাম্বার ব্যবহার করে রাজনীতিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে।