প্রধান বন সংরক্ষক ও ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদকসংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
বন অধিদপ্তরের দেড় হাজার কোটি টাকার ‘সুফল’ প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের তালিকায় প্রধান বন সংরক্ষক কর্মকর্তা আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নিজ কোম্পানির যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ বিস্তর দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম রোববার (১০ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ২৫ শতাংশ বনভূমি প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সরকারি বনজ সম্পদ উন্নয়নে ২০১৮ সালে টেকসই বন ও জীবিকা শীর্ষক ‘সুফল’ প্রকল্প গ্রহণ করে বন অধিদপ্তর। দুদকের কাছে অভিযোগ আসে, প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বন মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে পদে পদে ঘটেছে দুর্নীতি।
এমন অভিযোগে গেল ফেব্রুয়ারিতে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে মেলে সুফল প্রকল্প কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ। অভিযোগের তীর প্রধান বন সংরক্ষক কর্মকর্তা আমির হোসাইন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ অন্যদের বিরুদ্ধে।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, অভিযানের যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে তার প্রেক্ষিতে দুদক অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, নিজের প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের উৎপাদিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ডিপিডিসিতে সরবরাহ, পদ বাগাতে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এ বিষয়ে দুদক উপপরিচালক বলেন, ডিপিডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নিজে কোম্পানি করে তার প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে বিক্রিতে উৎসাহিত করতেন, প্রলুব্ধ করতেন। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসার্স/ ন্যাশনাল /সময়ের কন্ঠ
এবার দুদকের জালে প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক
আব্দুর রাজ্জাকের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিদ্যুৎ বিভাগ
অনিয়ম-দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য দুই প্রকৌশলী
প্রিন্ট
অনুসন্ধান রিপোর্ট 




















