ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

আমি হতাশ হতে চাই না, তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে: মির্জা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯৪ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আশাবাদী, হতাশ হতে চাই না। তবে তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই…তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।

শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ এ সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার তর্কবিতর্ক হতাশা তৈরি করেছে। গণতন্ত্রে তর্কবিতর্ক থাকবেই। তবে মাঝেমধ্যে তা হতাশার জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বা জোড়াতালি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও লক্ষ্য।

‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি—কোনোটিই বিচ্ছিন্ন নয়।এ সবকিছুই রাষ্ট্রকাঠামোর ওপর নির্ভর করে। জনগণ কাদের নির্বাচিত করছেন; যাদের নির্বাচিত করছেন, তারা কীভাবে দেশকে পরিচালনা করছেন—এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে’।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে—এমনটা ভাবা যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতি হলো অন্যতম কারণ। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তারা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কিনা, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।

‘আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। একজন মফস্বলের শিক্ষককে সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় আসতে হয়। এটার তো প্রয়োজন ছিল না। এর জন্য দায়ী সিস্টেম। মফস্বলের শিক্ষক যদি সেন্ট্রালে না আসেন, তাহলে ঘুসটা আসবে কোথা থেকে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে, নার্সদের নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

আমি হতাশ হতে চাই না, তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে: মির্জা

আপডেট সময় ০৪:৪২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আশাবাদী, হতাশ হতে চাই না। তবে তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই…তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।

শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সংগঠন অর্পণ আলোক সংঘ এ সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার তর্কবিতর্ক হতাশা তৈরি করেছে। গণতন্ত্রে তর্কবিতর্ক থাকবেই। তবে মাঝেমধ্যে তা হতাশার জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বা জোড়াতালি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও লক্ষ্য।

‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি—কোনোটিই বিচ্ছিন্ন নয়।এ সবকিছুই রাষ্ট্রকাঠামোর ওপর নির্ভর করে। জনগণ কাদের নির্বাচিত করছেন; যাদের নির্বাচিত করছেন, তারা কীভাবে দেশকে পরিচালনা করছেন—এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে’।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে—এমনটা ভাবা যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতি হলো অন্যতম কারণ। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তারা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কিনা, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।

‘আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। একজন মফস্বলের শিক্ষককে সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় আসতে হয়। এটার তো প্রয়োজন ছিল না। এর জন্য দায়ী সিস্টেম। মফস্বলের শিক্ষক যদি সেন্ট্রালে না আসেন, তাহলে ঘুসটা আসবে কোথা থেকে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে, নার্সদের নিয়োগ হয় ঘুস দিয়ে’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।


প্রিন্ট