ওমর ফারুক : বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসন একীভূত করে দেওয়ার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে মোংলা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অচল করে দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুজাম্মিল হক কাসেমী। রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে মোংলা পৌরসভার সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত নির্বাচন কমিশন। বাগেরহাট-৩ আসন একীভূত করার সিদ্ধান্ত একটি দুরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত।” তিনি আরও বলেন, “রামপাল-মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসন এখানকার মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও অস্তিত্বের প্রতীক। এটা মুছে দেওয়ার চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। সরকার যদি জনগণের দাবি মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মোংলা বন্দরসহ উপকূলজুড়ে অচল অবস্থা তৈরি হবে। প্রয়োজনে আমরা রাজপথ দখলে নেব।”
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ রুহুল আমিন। তিনি বলেন,“যারা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নির্বাচনী সীমানা কাটছাঁট করে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। জনগণের রায় ছিনিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমরা চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।” ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মোংলা পৌর সভাপতি হযরত মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মোংলা উপজেলার সহ-সভাপতি মাওলানা ইউসুফ ইকবাল, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মোংলা পৌর সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম সাদী। বক্তারা একবাক্যে বলেন, “বিচার চাই, বঞ্চনার অবসান চাই। বাগেরহাট-৩ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই আসন ফিরিয়ে না দিলে আন্দোলনের ভয়াবহ রূপ দেখবে ক্ষমতাসীনরা।”
জনতার মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত হয় মোংলার রাজপথ। মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাগেরহাট-৩ আসন পুনঃবহালের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে বলে জানানো হয়।
প্রিন্ট